1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনে কারচুপি করা এত সহজ!

১১ নভেম্বর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ যেখানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা আছে সেখানে কারচুপি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে৷ ফলে ডিজিটালের পাশাপাশি অ্যানালগ পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ ব্যবস্থা অবশ্যই থাকা দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/37xcJ
USA Midterm-Wahlen 2018
ছবি: picture-alliance/newscom/K. Dietsch

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভোটার ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছেন৷ প্রায় ২০টি রাজ্যে ‘অ্যাকুভোট টিএস' এবং ‘টিএসএক্স' নামক ভোটিং মেশিন ব্যবহৃত হয়েছে৷ অথচ এসব মেশিন যে কতটা অরক্ষিত তা কয়েকবারই করে দেখিয়েছেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অ্যালেক্স হেল্ডারম্যান৷ মার্কিন কংগ্রেসকেও তিনি এই বিষয়টি জানিয়েছিলেন৷

২০০০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জ বুশ খুবই অল্প ব্যবধানে আল গোরকে হারিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেইসময় ব্যবহৃত হওয়া কার্ড সিস্টেম-এ ভোট দিতে গিয়ে ফ্লরিডায় এক লক্ষেরও বেশি ভোট বাতিল করতে হয়েছিল৷ তাছাড়া ভোটের ফল পেতে ৩৬ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল৷

সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো কম্পিউটার সিস্টেম চালু করা হয়৷

১০ মিনিটেই হ্যাক!

বিশ্বের হ্যাকারদের এক অন্যতম মেলা ‘ডেফকন ২৬'৷ গত আগস্টে লাস ভেগাসে এটি অনুষ্ঠিত হয়৷ আয়োজকরা তরুণ হ্যাকারদের জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল৷ কে, কত কম সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারে, তা নির্ধারণ করা ছিল ঐ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য৷ এ জন্য ফ্লরিডা, আইওয়া, মিশিগান, নিউ হ্যাম্পশায়ার, ওহিও, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া ও উইসকনসিন রাজ্যের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটের ‘কপি' বা নকল তৈরি করা হয়েছিল৷

১১ বছরের অদ্রে জোন্স মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে এ সব ওয়েবসাইটের একটি পাতায় প্রবেশ করতে সমর্থ হয়েছিল৷ সেখানে সে তার ইচ্ছেমত প্রার্থীর নাম ও ভোটের সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারত৷ আয়োজকরা জানান, ৩০ জনের বেশি শিশু আধ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করতে পেরেছিল৷

ইউরোপে হুমকি

শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ২০১৭ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রান-অফের কিছুক্ষণ আগে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর দলের কয়েক হাজার গোপন নথিপত্র প্রকাশ করে দেয়া হয়েছিল৷

এদিকে, জার্মানির ডার্মস্টাটের মার্টিন চিরজিশ নামে কম্পিউটার বিজ্ঞানের এর শিক্ষার্থী গতবছর জার্মান নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়নে ব্যবহত সফটওয়্যারের দূর্বলতা তুলে ধরেছিলেন৷ ‘পিসি-ভাল' নামের ঐ সফটওয়্যারের পাসওয়ার্ড তিনি অনলাইনে খুঁজে পেয়েছিলেন৷ ঐ সফটওয়্যারের কোড-এও তিনি প্রবেশ করতে পেরেছিলেন৷ পরবর্তীতে চিরজিশ এই দূর্বলতার কথা নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে জানালে ঐ সফটওয়্যার ব্যবহার থেকে সরে আসে তারা৷

অ্যানালগের বিকল্প নেই!

প্রায় সফটওয়্যারই আগে কিংবা পরে হ্যাক করা সম্ভব৷ তাই মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক হেল্ডারম্যান বলেন, এই ডিজিটাল যুগেও অ্যানালগ পদ্ধতিতে ভোটদানের ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অ্যানালগ পদ্ধতির পক্ষে কথা বলেছেন৷ ‘‘এটি পুরনো ফ্যাশনের৷ কিন্তু কাগজপত্রের মাধ্যমে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা থাকা সব সময়ই ভালো,'' বলেন তিনি৷ 

গত বছরের এই ছবিঘরটি দেখুন

আলেক্সান্ডার ফ্রয়েন্ড/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য