1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান ফুটবল

৪ জানুয়ারি ২০১৩

গ্যালারিতে দর্শক আছে অথচ সাড়াশব্দ নেই৷ বুন্ডেসলিগার অভূতপূর্ব এ নাটকীয় দৃশ্য শেষ হতে চলেছে৷ ফুটবল সমর্থকদের এক সংগঠন জানিয়েছে, এভাবে প্রতিবাদ অনেক হয়েছে, আর নয়৷ তাই আবারো জমে উঠবে খেলার মাঠ৷

https://p.dw.com/p/17Df2
ছবি: picture alliance/GES-Sportfoto

অনেক জায়গার মতো জার্মান ফুটবলে হৈ-হট্টগোল, একটু-আধটু মারামারি হয়েই থাকে৷ বুন্ডেসলিগায় সম্প্রতি এর মাত্রাটা একটু বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছিল জার্মান ফুটবল লিগ (ডিএফএল) কমিটি৷ গেল ডিসেম্বরের ১২ তারিখ এজন্য একটা সভাও ডেকেছিল তারা৷ সেখানে স্টেডিয়ামের পরিবেশ শান্ত এবং সবার জন্য নিরাপদ রাখতে নতুন এক নীতিমালা অনুমোদিত হয়৷ জার্মানির ফুটবল সমর্থকরা তাতেই খুব অসন্তুষ্ট৷

সমর্থকদের কিছু সংগঠন সব ম্যাচের প্রথম ১২ মিনিট ১২ সেকেন্ড গ্যালারিতে একেবারে শান্ত-সুবোধ শিশুটির মতো চুপ করে বসে থেকে নতুন নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়৷ ২০১২ সালের ১২ই ডিসেম্বর নীতিমালাটি অনুমোদন পেয়েছে বলেই ঠিক ১২ মিনিট ১২ সেকেন্ড নীরবতা পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সমর্থকরা৷ এর ফলে ঐ সময়টুকু ফুটবল মাঠের চিরাচরিত পরিবেশ চোখে পড়েনি৷

Bundesliga Wolfsburg - Frankfurt Rauchbomben Pyrotechnik Fans Rauch
ক’দিন আগে জার্মানির ফুটবল মাঠে সহিংসতার চিত্রছবি: Getty Images

তবে এবার অভিনব এই প্রতিবাদ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা৷ সমর্থকদের এক গোষ্ঠী জানিয়েছে যে, শীতকালীন বিরতির পর তারা আর এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে না৷ তার মানে তো বুঝতেই পারছেন, হ্যাঁ, জার্মানির ফুটবল মাঠগুলো খেলার পুরোটা সময়ই আবার দর্শকদের হাততালি, নাচ-গান-বাজনা, ‘গোল, গোল' চিৎকারে মুখর হয়ে উঠবে৷

সমর্থকরা একেবারে নীরব থেকে মাঠের আনন্দ আর কমাবেন না – এটা জার্মান ফুটবল লিগ কমিটির জন্য খুব ভালো খবর৷ কিন্তু এর পাশাপাশি আরেকটা খারাপ খবরও আছে৷ ফুটবল ক্লাবগুলোতে নব্য নাৎসিদের আনাগোনা বাড়ছে ক্রমশই৷ চরম ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের এই মানুষগুলো চাইছে জার্মানির ফুটবল ক্লাবগুলোতেও আপাত বাতিল হিটলারের সেই মতবাদকে ছড়িয়ে দিতে৷ তারা কাজ করছে নীরবে, কাউকে বুঝতে না দিয়ে৷ তবুও ব্যাপারটা লিগ কমিটির নজরে এসেছে৷ তা এমন ভয়ঙ্কর একটি বিষয় জেনে তো আর হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না, তাই কর্তৃপক্ষ নেমে পড়েছে নব্য নাৎসিদের ঠেকানোর কাজে৷ ক্লাবগুলোকেও পাশে পাচ্ছেন তাঁরা৷ লিগ আয়োজক এবং ক্লাবগুলোর এ মুহূর্তের পরিকল্পনা হলো, ক্লাবই যে খেলাধুলার জন্য সেরা জায়গা সেটা সবাইকে বোঝানো৷ এটা বোঝালেই সবাই বুঝবেন যে, নাৎসিবাদ বা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে – এমন কোনো মতবাদ প্রচারেরই জায়গা নয় ফুটবল ক্লাবগুলো৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, এসআইডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য