1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশনিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডে নির্বাচনে জয়ী অদ্ভুত পাখি পুটিকিটিকি

১৬ নভেম্বর ২০২৩

প্রতিবছর ভোটের মাধ্যমে সেরা পাখি নির্বাচন করে নিউজিল্যান্ড৷ সে খবর খুব কম মানুষই জানতে পারেন৷ কিন্তু এবার পুটিকিটিকির জয়ের কথা জেনেছে কমপক্ষে ১৯৫টি দেশের মানুষ৷

https://p.dw.com/p/4Yrm7
সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে আকৃষ্ট করতে পুটিকিটিকি খুব সুন্দর করে নাচতে পারে
সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে আকৃষ্ট করতে পুটিকিটিকি খুব সুন্দর করে নাচতে পারেছবি: Leanne Buchan via REUTERS

কারণ, ১৯৫টি দেশের সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন এই নির্বাচনে৷ সাড়ে তিন লাখেরও বেশি ভেরিফায়েড ভোটের এ নির্বাচনে বিজয়ীর মুকুট উঠেছে অদ্ভুত স্বভাবের পাখি পুটিকিটিকির মাথায়৷

বড় আদুরে স্বভাবের মজার পাকি পুটিকিটিকি৷ এ কারণেই সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে তার নামে৷ নির্বাচনি প্রচারাভিযানে পাখিটির যে চারটি বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়, সেগুলো হলো, এক- পছন্দের সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে আকৃষ্ট করতে সে খুব সুন্দর করে নাচতে পারে, দুই - মা বা বাবা হলে সন্তান খুব সুন্দর করে লালন-পালন করতে পারে, তিন- খুব অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ করতে পারে এবং চার- পুটিকিটিকি খুব বমি করতে পারে, সব খাবার মুহূর্তের মধ্যে উগড়ে দিতে পারে!

ব্রিটিশ-অ্যামেরিকান কমেডিয়ান জন অলিভার ভূমিকা না রাখলে পুটিকিটিকি নামে যে এমন অদ্ভুত একটা পাখি আছে তা বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ হয়ত জানতেই পারতো না৷

একটি পুটিকিটিকি পরিবার
একটি পুটিকিটিকি পরিবারছবি: Peter Foulds/Royal Forest and Bird Protection Society/AP/picture alliance

প্রতিবছর দেশি পাখির বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বর্ষসেরা পাখি নির্বাচন করে নিউজিল্যান্ড৷ বরাবরের মতো এবারও হয়ত অন্য কোনো পাখিই পেয়ে যেতো সেই স্বীকৃতি৷ কিন্তু ভোট প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা চোখে পড়ায় পুরো বিষয়টিকে বৈশ্বিক পর্যায়ে নিয়ে যান জন অলিভার৷ এইচবিও-র জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘লাস্ট উইক টুনাইট'-এ তুলে ধরেন অখ্যাত, অজ্ঞাত পাখি পুটিকিটিকির কথা৷

পাখিটির জয় নিশ্চিত করতে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের রাস্তায় লাগানো হয় বিশাল বিলবোর্ড, সেখানে লেখা ছিল ‘দ্য লর্ড অব উইংস৷' কিন্তু ‘ডানাওয়ালাদের সম্রাট' শুধু নিউজিল্যান্ডের মানুষদের ভোট পেলে তো জিততে পারবে না৷ তাই প্যারিস, টোকিও, লন্ডন এবং মুম্বাইয়েও লাগানো হলো বিলবোর্ড৷ ব্রাজিলের ইপানেমা সমুদ্রসৈকতের ওপর দিয়ে জন অলিভার এমন এক বিমান ওড়ালেন যার গায়ে বাঁধা ছিল সেই ‘দ্য লর্ড অব উইংস' লেখা ব্যানার৷ ভোটাভুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনেক জায়গায় পুটিকিটিকি সেজেই হাজির হলেন জন অলিভার৷ জিমি ফ্যালনের ‘দ্য টুনাইট শো'-র মতো অনুষ্ঠানেও পুটিকিটিকর আদলেই দেখা গেছে তাকে৷

বাকিটা রেকর্ড ভোটে পুটিকিটিকির শতাব্দির সেরা পাখি নির্বাচিত হওয়ার ইতিহাস৷ সে ইতিহাস জানাতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডের ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড-এর প্রধান নির্বাহী নিকোলা টোকি বলেন, "পুটিকিটিকি ‘বার্ড অফ দ্য সেঞ্চুরি' হওয়ার দৌড়ে শুরুতে ধারেকাছেও ছিল না৷ অনন্য চেহারা, সন্তান বড় করার মিষ্টি ভঙ্গিমা এবং খাবার উগড়ানোর অদ্ভুত প্রবণতাই তাকে শেষ পর্যন্ত শীর্ষে তুলেছে৷"

এ বছর প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপন করছে ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড৷ নিজেদের শতবর্ষে পাখিদের শতবর্ষের সেরা নির্বাচনটাকে সার্থক করে দিলো পুটিকিটিকি৷ পুটিকিটিকি না থাকলে কি নিউজিল্যান্ডের সেরা পাখি নির্বাচনে ১৯৫টি দেশের মানুষ অংশ নিতো! এমন নির্বাচনে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি ভোট কি পড়তো!

মা বা বাবা হলে পুটিকিটিকি সন্তান খুব সুন্দর করে লালন-পালন করতে পারে
মা বা বাবা হলে পুটিকিটিকি সন্তান খুব সুন্দর করে লালন-পালন করতে পারেছবি: Leanne Buchan via REUTERS

এসিবে/ কেএম(এপি, এএফপি, রয়টার্স)