1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাষ্ট্র

নর্ড স্ট্রিম ২ নিয়ে রাশিয়াকে হুমকি বাইডেনের

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে নর্ড স্ট্রিম ২ প্রকল্প চালু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানালেন জো বাইডেন।

https://p.dw.com/p/46eu6
যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করছেন বাইডেন ও শোলৎস। ছবি: Alex Brandon/AP Photo/picture alliance

নর্ড স্ট্রিম ২ প্রকল্প চালু হলে রাশিয়া থেকে সরাসরি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে জার্মানি আসত। কিন্তু ইউক্রেন নিয়ে বিরোধের জেরে সেই প্রকল্প চালু হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলার ওলফ শোলৎসের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে নর্ড স্ট্রিম ২ প্রকল্প আর হবে না।

শোলৎস এখন অ্যামেরিকা সফর করছেন। হোয়াইট হাউসে বাইডেনের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে বিস্তারে আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া এক লাখের মতো সেনা মোতায়েন করেছে। মার্কিন গোয়েন্দাদের রিপোর্ট, রাশিয়া যে কোনো সময়ে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। অ্যামেরিকাও ইউরোপে সেনা পাঠিয়েছে। জার্মানিও লিথুয়ানিয়াতে সেনা মোতায়েন করেছে।

দুই শীর্ষ নেতা আলোচনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ''রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্ত পেরোলে নর্ড স্ট্রিম ২ প্রকল্প আর হবে না। আমরা সেই প্রকল্প আর চালু রাখব না।''

শোলৎস কী বলেছেন

জার্মান চ্যান্সেলার বলেছেন, ''আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেব। অ্যামেরিকার বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা একসঙ্গে কাজ করব। কেউ কোনো আলাদা পদক্ষেপ নেবে না।''

তবে নর্ড স্ট্রিম ২ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, শোলৎস প্রকল্পের নাম না নিয়ে বাইডেনের অবস্থানকেই কার্যত সমর্থন করেছেন।

চ্যান্সেলার হওয়ার পর এটাই শোলৎসের প্রথম অ্যামেরিকা সফর। এর আগে জার্মানির অর্থমন্ত্রী ও ডেপুটি চ্যান্সেলার হিসাবে তিনি হোয়াইট হাউসে গেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে একটা সমালোচনা শুরু হয়েছিল, তিনি চ্যান্সেলার হওয়ার পর কেন অ্যামেরিকা সফরে দেরি করছেন? দায়িত্ব নেয়ার দুই মাস পরে শোলৎস অ্যামেরিকা সফরে গেলেন।

কী বিষয়ে কথা হয়েছে

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যে দুইটি বিষয় নিয়ে জার্মানিরও সমালোচনা হচ্ছে। প্রথম সমালোচনা হলো, জার্মানি প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে রাশিয়ার উপর বড় বেশি করে নির্ভরশীল। আর দ্বিতীয় সমালোচনা হলো, তারা ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে চায়নি। জার্মান কাউন্সিল অফ ফরেন রিলেশনসের  রাশিয়া ও ইউরোপ বিশেষজ্ঞ স্টেফান ডিডাব্লিউকে বলেছেন, তার ধারণা, ''পাইপলাইনের ইস্যুতে জার্মানি চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে। শেষ পর্যন্ত জার্মানিও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। নর্ড স্ট্রিম ২ নিয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।''

কিন্তু স্টেফান বলেছেন, ''ইউক্রেনকে অস্ত্র বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত থেকে তারা সম্ভবত সরবে না। শোলৎসও জানিয়ে দিয়েছেন, জার্মানি কোনো অস্ত্র বিক্রি করবে না।''

কূটনৈতিক তৎপরতা

বাইডেন-শোলৎস বৈঠকের দিন রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ মস্কো গেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক কিয়েভে ছিলেন। মঙ্গলবার শোলৎস বার্লিন ফিরে মাক্রোঁ  ও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। জার্মানির সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, শোলৎস এই দুই নেতাকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

জিএইচ/এসজি (ডিপিএ, এপি)