নব্বই দিন গারদে থাকতে হবে লিন্ডসে লোহানকে
৭ জুলাই ২০১০লস এঞ্জেলেসের আদালতে মহিলা বিচারপতি মার্শা রেভেল মঙ্গলবার খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বললেন লিন্ডসের অপরাধ৷ মাদক রাখা, বেসামাল গাড়ি চালানো, মদ্যপান করে গাড়ি চালানো এবং একাধিকবার আদালতের নির্দেশ না মেনে আদালত অবমাননা৷ বিভিন্ন অপরাধে তিরিশ দিন করে তিনবার মোট নব্বই দিন সোনালি চুলের চব্বিশ বছরের হলিউড নায়িকাকে থাকতে হবে জেলবন্দি৷
বেচারা লিন্ডসে লোহান৷ দুর্ভাগ্য এই মেয়েটিকে এখন তাড়া করে ফিরছে৷ একে তো একের পর এক ছবি ফ্লপ, চারদিকে দুর্নাম, তারওপর এই জেলবাসের সাজা৷ কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন লিন্ডসে আদালতকক্ষেই৷ ক্যামেরা চলছে সে খেয়ালও ছিল না বেচারার৷ বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল যে সত্যিই তাঁকে কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে৷
২০ জুলাই এই আদালতের কাছেই আত্মসমর্পণ করতে হবে লিন্ডসেকে৷ সেদিন থেকেই শুরু হবে হাজতবাস৷ আদালত কয়েকবার নির্দেশ দেওয়া স্বত্ত্বেও নায়িকা মদ্যপান বন্ধ করার ডাক্তারি পাঠ নেননি৷ কারাবাসের নব্বই দিনের মধ্যে সেটাও করতে হবে, নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ সবচেয়ে বড়কথা, গোটা দুনিয়া জেনে গেল লিন্ডসে আসলে অপরাধী৷ জেনে গেল, লিন্ডসে অহংকারী, দুর্ব্যবহারকারী, মদ্যপানে আসক্ত৷
এতসব অপমান গায়ে মাখতে হবে, এটাও তো কম যন্ত্রণা নয়৷ কারণ, জেল থেকে নব্বই দিনের সাজা খেটে বেরিয়েই লিন্ডসের শাস্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে না৷ বিচারপতি রেভেল বলেছেন, লিন্ডসেকে তারপর একটা বিশেষ সামাজিক শিক্ষার পাঠক্রম নিতে হবে৷ যেখানে অধৈর্য এবং দুর্ব্যবহারকারী লোকেদের শিক্ষা নিতে পাঠানো হয়৷ লিন্ডসের কান্নায় ভেঙে পড়ার অতএব অনেক কারণ৷
এর আগেও একবার গারদবাসের সাজা হয়েছিল নায়িকা লিন্ডসের৷ কিন্তু সেবার মোট চুরাশি মিনিট গারদে থেকে আইনের ফাঁক গলে সে বেরিয়ে যায়৷ এবার আর পার পাওয়া দুষ্কর যে তা তো বোঝাই যাচ্ছে৷ যাই হোক, জেল খেটে ফিরে লিন্ডসে এবার ঠিকঠাক হয়ে যাক, আমাদের সেই শুভকামনা থাকল৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন