ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না - সোনিয়া গান্ধী
২ নভেম্বর ২০১০চতুর্থবার দলের সভানেত্রী পুনর্নির্বাচিত হবার পর মঙ্গলবার নতুনদিল্লিতে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে, সোনিয়া গান্ধীর উদ্বোধনী ভাষণে উঠে আসে কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে রাজনৈতিক সংলাপ, মাওবাদী সহিংস কার্যকলাপে দেশের অভ্যন্তরিণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি, তার মোকাবিলায় আর্থ-সামাজিক বিকাশসহ অন্যান্য পদক্ষেপ থেকে খাদ্য সুরক্ষা, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়৷
অযোধ্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে সোচ্চার সোনিয়া গান্ধী৷ আদালতের রায়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে ক্ষমা করা হয়নি৷ এটা ফৌজদারি অপরাধ৷ দোষীদের বিচারের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হবে৷ তিনি বলেন, তাঁর দল ও সরকার ধর্মকে কখনই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেবেনা৷
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায় মৌলবাদী হিন্দু সংগঠনগুলিকে বিদ্ধ করে বলেন, সাম্প্রতিক তদন্তে আরএসএস ও তার শাখা সংগঠনগুলির স্বরূপ প্রকাশিত৷ তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত৷ সঙ্গে সঙ্গে ঐ অভিযোগ খন্ডন করে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি মুখপাত্রের পাল্টা অভিযোগ৷ অনেক কংগ্রেস নেতাকর্মী সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত৷ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাঁদের আঁতাত আছে৷ তা সে কোয়েম্বাটুর হোক বা কেরালা৷
কংগ্রেস নেতাদের ভাষণে চলতি ইস্যুগুলির উল্লেখ থাকলেও দুর্নীতি এবংবিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি সম্পর্কে তাঁরা নীরব, যেটা চোখে পড়ার মত৷ সেটা নিয়ে বিরোধী দল বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছে, দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি সম্পর্কে কংগ্রেস নীরব কেন ? কেন উদাসীন টেলিকম,কমনওয়েলথ গেমস, মুম্বাই-এর আদর্শ আবাসন কেলেঙ্কারী সম্পর্কে৷
একদিনের এই অধিবেশনে যোগ দেন এক হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি৷ দলের কর্ম সমিতির সদস্য মনোনীত করার ভার দেয়া হয় সোনিয়া গান্ধীর ওপর৷ এই কর্মসমিতি দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক