1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দ্বিতীয়বারের মতো ‘এইডস’ হার মানলো

১০ মার্চ ২০১৯

যে জীবাণু থেকে ‘এইডস’ মানুষের শরীরে দেখা দেয়, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের (বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন) ফলে তা বাদ দেয়া সম্ভব, এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা৷ এই নিয়ে দু’বার এই চিকিৎসা পদ্ধতি সফল প্রমাণিত হলো৷

https://p.dw.com/p/3EgGE
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Bally

চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে, কোনো ব্যক্তি ‘এইচআইভি' পজিটিভ হওয়া মানে তিনি ‘এইডস' রোগে ভুগতে পারেন৷

১৯৮০ সাল থেকে পৃথিবীর সাড়ে তিন কোটি মানুষ এই রোগে প্রাণ হারিয়েছেন৷

এতদিন পর্যন্ত এই রোগ থেকে সম্পূর্ণভাবে সেরে ওঠা ছিল ভাবনারও অতীত৷ 

কিন্তু এমনটা সম্ভব বলে জানাচ্ছে রবীন্দ্র গুপ্ত ও তাঁর গবেষকদল৷ বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ‘নেচার'-এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে জানা গেছে এই তথ্য৷

কীভাবে হলো এই আবিষ্কার?

২০০৭ সালে বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের পর এক রোগীর শরীরে আর ‘এইচআইভি' পজিটিভের পেছনে থাকা ভাইরাসকে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ কিন্তু তখন গবেষকরা ভেবেছিলেন যে এমন আবিষ্কার নেহাতই কাকতালীয়৷

কিন্তু দ্বিতীয়বার, অন্য আরেক রোগীর ক্ষেত্রেও যখন একই ফলাফল আসে, তখন রবীন্দ্র গুপ্ত তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতি বিষয়ে নিশ্চিত হন৷

তবে কি এইচআইভি-মুক্ত হওয়া সত্যিই সম্ভব?

রবীন্দ্র গুপ্ত বলছেন, ‘‘এখনও রোগীর শরীরে আমরা কোনো ভাইরাস খুঁজে পাচ্ছি না৷ কিন্তু তার মানে সে সম্পূর্ণভাবে এইডস-মুক্ত, তা ঠিক নয়৷ বরং আমরা বলতে পারি, যে রোগী তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরে পেয়েছেন৷''

শুধু তাই নয়, তিনি আরো জানান যে বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন একটি ব্যয়বহুল, বিপজ্জনক ও যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া৷ ফলে, সেটি কোনোদিনই এইচআইভি-কে রুখতে শ্রেষ্ঠ উপায় হতে পারে না৷

এসএস/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি)