দেশে ফেরার অপেক্ষায় সীমান্তে ২২ হাজার বাংলাদেশি
৯ মার্চ ২০১১রাবাব ফাতিমা জানান, লিবিয়ার ভেতরে যেসব বাংলাদেশি রয়েছেন তাদের উদ্ধারে আইওএম-এর তেমন কিছু করার নেই৷ কারণ নিরাপত্তার প্রশ্নটি এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে৷
রাবাব ফাতিমা জানান, এপর্যন্ত ৫ হাজার ২শ’ বাংলাদেশিকে লিবিয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়ছে আইওএম-এর উদ্যোগে৷ এর বাইরেও ব্যক্তিগত এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিক ফেরত এসেছেন৷ আরো ২২ হাজার বাংলাদেশিকে পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷ আগামী ৫ দিনে আসবে ৫ হাজার৷ আর আজ ৮টি চার্টার্ড বিমানে একযোগে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি ফেরত আসার কথা রয়েছে৷
কিন্তু লিবিয়ায় এখনো কম করে হলেও ৪০ হাজার বাংলাদেশি আটকা আছেন৷ রাবাব ফাতিমা জানান, লিবিয়ার ভেতরে যারা রয়েছেন তাদের উদ্ধার করার কোন পরিকল্পনা নেই আইওএম-এর৷ যারা প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে আসবে, তাদেরই উদ্ধার করা সম্ভব৷ নিরাপত্তার কারণে লিবিয়ার ভেতরে খুব জরুরি কিছু সহায়তা ছাড়া অন্য কোনো সহায়তা দেয়া সম্ভব নয়৷
উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় কুয়েত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশিরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে৷ এবার লিবিয়া থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশিরা ক্ষতিপূরণ পাবে কিনা, প্রশ্নের জবাবে আইওএম প্রতিনিধি বলেন, সে সম্ভাবনা কম৷ কারণ উপসাগরীয় যুদ্ধ ছিল ইউএন ম্যান্ডেটে৷ আর লিবিয়ায় চলছে অভ্যন্তরীণ সংঘাত৷ তবে তাদের সহায়তায় সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে ফান্ড গঠন করা যেতে পারে৷
রাবাব ফাতিমা বলেন, তাদের প্রতি সবারই উচিত সহানুভূতিশীল হওয়া৷ কারণ তারা সব কিছু হারিয়ে দেশে ফিরে আসছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন