দেশ নয়, ট্রাম্প শুধু নিজের স্বার্থ দেখেন
২৪ জানুয়ারি ২০২০সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও বিরোধী ডেমোক্র্যাট দল প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট তদন্তের পথে বাধা দূর করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে৷ ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের উপর জনমতের চাপ সৃষ্টি করে সে দলের সেনেটরদের ঐক্যে ভাঙন ঘটানোই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ ১০০ সদস্যের উচ্চ কক্ষের কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতি পেলে তবেই প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব৷
নিম্ন কক্ষে ডেমোক্র্যাট দলের ইমপিচমেন্ট ম্যানেজারদের দল বৃহস্পতিবারও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সেই কঠিন সিদ্ধান্ত নেবার পক্ষে সওয়াল করলেন৷ প্রধান ইমপিচমেন্ট ম্যানেজার অ্যাডাম শিফ বলেন, দেশের ভালোর জন্য এই প্রেসিডেন্ট কোনো পদক্ষেপ নেবেন, এমন আস্থা রাখা সম্ভব নয়৷ তিনি শুধু ডনাল্ড ট্রাম্পের স্বার্থে কাজ করেন৷
ডেমোক্র্যাটরা ইউক্রেন-কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পর্কে অপবাদ দূর করতেও যুক্তি পেশ করেন৷ তাদের মতে, দুর্নীতি সম্পর্কে দুশ্চিন্তার ভিত্তিতে বাইডেন মার্কিন জাতীয় স্বার্থে ইউক্রেনের প্রধান কৌঁসুলি ভিক্টর শোকিন-কে অপসারণের জন্য সে দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন৷ নিজের ছেলের স্বার্থ রক্ষা করতে তিনি কিছু করেন নি৷
রিপাবলিকান সেনেটাররা এখনো পর্যন্ত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার যথেষ্ট কারণ দেখছেন না৷ তাঁদের মতে, কোনো নির্দিষ্ট অপরাধ প্রমাণিত না হলে এমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়৷ আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিরোধী দল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইমপিচমেন্টের জন্য জোর খাটাচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করছে৷ রিপাবলিকান সেনেটর বিল ক্যাসিডি বলেন, আর মাত্র নয় মাস পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তখন মার্কিন জনগণ সরাসরি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিচার করতে পারবেন৷
নিম্ন কক্ষের ইমপিচমেন্ট ম্যানেজার জেরি ন্যাডলার সংবিধান উদ্ধৃত করে বলেছেন, কোনো প্রেসিডেন্ট নিজেকে আইনের উর্দ্ধে মনে করলেও তাঁকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার বিধান রয়েছে৷ তাঁর মতে, অ্যামেরিকার গণতন্ত্রের স্বার্থে এমনটা করা উচিত৷ ইমপিচমেন্ট ম্যানেজাররা সম্ভবত শুক্রবারের মধ্যে ইমপিচমেন্টের পক্ষে যাবতীয় যুক্তি পেশ করবেন৷ রিপাবলিকান দল এই তদন্ত প্রক্রিয়ায় নতুন সাক্ষ্যপ্রমাণের বিরোধিতা করে আসছে৷ আগামী সপ্তাহে নতুন সাক্ষীদের বক্তব্য শোনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ এই প্রশ্নে রিপাবলিকান দলে ঐক্য নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে৷ কমপক্ষে চার জন রিপাবলিকান সেনেটর মত বদল করলে নতুন সাক্ষী তলব করা সম্ভব হবে৷ ডেমোক্র্যাটরা সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে৷ বিশেষ করে প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে হাজির করতে পারলে তদন্ত প্রক্রিয়ার গতি বদলে যাবে বলে তাদের বিশ্বাস৷
এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)