দশ জনের প্রাণহানির পর গাজায় অস্ত্রবিরতি
৩০ অক্টোবর ২০১১সংঘর্ষটি হয়েছে মূলত ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট এবং ইসরায়েলের মধ্যে৷ গাজায় বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকার পর গত বুধবার থেকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ গাজা থেকে একটি গ্রাড মিসাইল ইসরায়েলের দক্ষিণে এসে আঘাত করলে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়৷ ইসরায়েলের বিমানগুলো এরপর একাধিকবার গাজায় হামলা চালায়৷ অন্যদিকে গাজা থেকেও পাল্টা রকেট হামলা চালানো হয় ইসরায়েল লক্ষ্য করে৷ এভাবে হামলা ও পাল্টা হামলায় উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটে৷
বার্তা সংস্থা ডিপিএ'র তথ্য মতে, শনিবার গাজা থেকে অন্তত ২৮টি রকেট এবং মর্টার শেল এসে আঘাত করে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে৷ তেল আভিভের সামরিক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে রোববারও আরও দশটি রকেট এসে পড়ে ইসরায়েলের বিরশেবা, আশকেলন এবং আশদদ শহরে৷ অন্যদিকে ইসরায়েলের জঙ্গি বিমানগুলো গাজার অন্তত ছয়টি এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালায়৷ এসব হামলাস্থলের মধ্যে একটি সুরঙ্গ রয়েছে৷ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে তারা গাজার উগ্রবাদীদের প্রশিক্ষণ শিবির লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে৷ এছাড়া তারা দাবি করেছে যেসব জায়গা থেকে রকেট ছোড়া হয়েছে সেসব জায়গা ছিল তাদের বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানায়, শনিবারের পর রোববার ভোররাতেও ইসরায়েলি বিমানগুলো একাধিকবার গাজায় হামলা চালায়৷
এদিকে গাজার জরুরি বিভাগের প্রধান আদহাম আবু সেলমেয়া জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় শনিবার সাতজন আর রোববার আরও দুই জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে৷ এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকে৷ অন্যদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গাজা থেকে ছোড়া রকেটের আঘাতে এক ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছে৷ আহত হয়েছে অন্তত আরও ছয় জন৷
এদিকে ইসরায়েলে রকেট হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে গাজার ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট দলের কুদস ব্রিগেড৷ তাদের মুখপাত্র আবু আহমাদ ইসরায়েলি হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন৷ দুই পক্ষের এই সংঘর্ষ থামাতে গাজার হামাস দলের নেতারা যোগাযোগ করেন মিসর, তুরস্ক এবং জাতিসংঘের সঙ্গে৷ তাদের মধ্যস্থতায় রোববার একটি অস্ত্র বিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ বার্তা সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, গাজার ইসলামিক জিহাদ এই অস্ত্র বিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম