দক্ষিণের মহড়াকে ঘিরে কোরিয়া উপদ্বীপ আবারো উত্তপ্ত
১৮ ডিসেম্বর ২০১০শনিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে যে কোনদিন সামরিক মহড়া চালানোর কথা রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার৷ মার্কিন নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ বাহিনীর সদস্যরা এই মহড়া পর্যবেক্ষণ করবেন৷ এছাড়া সহযোগী হিসেবে ২০ জন মার্কিন সৈন্যের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে দক্ষিণের এই মহড়ায়৷ কিন্তু শুক্রবার হঠাৎ করেই উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে যে, দক্ষিণ এই মহড়া চালালে তারা আরো কড়া জবাব দেবে৷ উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা প্রকাশিত সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘হামলার ধরণ এবং আঘাতের দিক থেকে এটা হবে ২৩ নভেম্বর চালানো হামলার চেয়ে আরো ভয়ংকর৷ দক্ষিণের দ্বীপ ইয়নপিয়ং-এ চালানো ঐ হামলায় দুই নৌ সেনা এবং দু'জন বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ আহত হয়েছিল আরো ১৮ জন৷
উত্তরের এমন হুমকির পর কোরিয়া উপদ্বীপের পরিস্থিতি আবারো উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷ তবে দক্ষিণের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেছেন, দক্ষিণের মহড়ায় উস্কানিমূলক কিছু নেই৷ তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য নিজেদের সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলন চালানোর অধিকার প্রত্যেকটি দেশের রয়েছে৷ তাই বলে আরো উত্তেজনা বাড়াতে এটার পাল্টা প্রশিক্ষণ অনুশীলন আয়োজন করা উত্তর কোরিয়ার উচিত হবে না৷''
এদিকে কোরিয়ার উপদ্বীপের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে উত্তরকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া৷ একইসাথে সামরিক মহড়া বাতিল করার জন্যও দক্ষিণ এবং অ্যামেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা৷ অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়াকে শান্ত করতে সেদেশ সফর করছেন মার্কিন কূটনীতিক ও মধ্যস্থতাকারী বিল রিচার্ডসন৷ উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পরিস্থিতিকে বিস্ফোরণোম্মুখ ‘ইন্ধন' আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সমূহ আশঙ্কা রয়েছে৷ তাই তিনি উত্তর কোরিয়াকে ‘চরম ধৈর্য' ধারণের আহ্বান জানান৷
সিএনএন'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, উত্তরের উচিত দক্ষিণ কোরিয়াকে মহড়া চালাতে দেওয়া৷ এছাড়া কোরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য চীন সফরে রয়েছেন মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস স্টেইনব্যার্গ৷ উত্তর কোরিয়ার প্রধান শক্তি চীনা কর্তৃপক্ষ স্টেইনব্যার্গকে আশ্বস্ত করেছেন, যে কোন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে পিয়ংইয়ং৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা