1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

৯ মার্চ ২০২২

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রায় শেষের দিকে৷ আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্টের নাম জানা যাবে৷ মে মাসে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন৷

https://p.dw.com/p/48DW7
Südkorea Seoul | vorläufige Stimmabgabe zur Präsidentschaftswahl
ছবি: Chris Jung/NurPhoto/imago images

শাসক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হয়েছেন লি জে-মিয়ুং৷ আর বিরোধী রক্ষণশীল দল পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থীর নাম ইয়ুন সুক ইওল৷

দুজনেরই জনপ্রিয়তা এত কম যে স্থানীয় গণমাধ্যমে এবারের নির্বাচনকে ‘দুই অজনপ্রিয় প্রার্থীর' মধ্যে নির্বাচন বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার একটি নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করেন৷ ফলে বাকি ১০ শতাংশ তরুণ ভোটাররা যাকে ভোট দেবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন৷

তরুণ ভোটারেরা রাজধানী সৌলের বাসা ভাড়ার ঊর্ধ্বগতি, সামাজিক বৈষম্য ও বেকারত্ব নিয়ে চিন্তিত৷ তাই দুই প্রার্থী নির্বাচনি ইশতাহারে তাদের মতো করে এসব বিষয় সমাধানের অঙ্গীকার করেছেন৷ কিন্তু এ পর্যন্তই৷ নির্বাচনি প্রচারণার সময় কেউই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেননি৷ বরং তারা একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন৷ প্রার্থীদের ‘পশু', ‘পরজীবী' ইত্যাদি নামে ডাকা হয়েছে৷

চুংনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হিয়োবিন লি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নীতি নিয়ে আলোচনা হয়নি৷ প্রার্থীরা শুধুমাত্র একে অপরের সমালোচনা করেছেন৷ যেমন তারা একজনের স্ত্রী বা তার সন্তানের বাজে আচরণ নিয়ে কথা বলেছেন৷'' তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি সমাজে বৈষম্য নিয়ে উদ্বিগ্ন, বেকারত্ব, সম্পদের পুনর্বণ্টন ইত্যাদি নিয়ে চিন্তিতি৷ কিন্তু প্রার্থীরা এসব বিষয়ে তেমন মনোযোগ দেননি৷''

সৌল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক পার্ক সাইং-ইনও নীতি ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা না হওয়ায় হতাশ৷ ‘‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় যে এবারের নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, একজন ভোটার কোন প্রার্থীকে একটু কম অপছন্দ করেন,'' বলেন তিনি৷ পার্ক সাইং-ইন বলেন, ‘‘আমার কাছে এটা বিপজ্জনক মনে হয় যখন ভোটাররা গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত স্ক্যান্ডালের ভিত্তিতে ভোট দেন৷''

শাসক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ুং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্টের নেয়া উদ্যোগের ধারাবাহিকতা রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন৷ তিনি বেইজিং ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে চান৷

অন্য প্রার্থী ইয়ুন সুক ইওল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চান৷ আর উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে ‘শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যে শান্তি' স্থাপনের পক্ষে তিনি৷

ইউলিয়ান রায়াল (টোকিও)/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য