দক্ষ কর্মীদের জন্য 'অপরচুনিটি কার্ড' চালু করল জার্মানি
১ জুন ২০২৪চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্যতা হিসাবে ভাষার দক্ষতা, শিক্ষা এবং কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে৷
এই সুবিধার আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে দক্ষ কর্মীরা জার্মানির শ্রম বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাবেন৷ সঠিক মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে সেই কার্ডের মাধ্যমে দেশটিতে এক বছর অবস্থান করে চাকরি খুঁজে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে৷
নতুন এই ভিসা প্রকল্প দেশটির একটা আইনের প্যাকেজের অংশ৷ এর লক্ষ্য জার্মানির দক্ষ শ্রমের বিপুল ঘাটতি মেটানো৷
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত করছি, জার্মানির অর্থনীতিতে বছরের পর বছর ধরে জরুরিভাবে কর্মী ও দক্ষ কর্মী প্রয়োজন৷ যোগ্য হলে তারা আমাদের দেশে আসতে পারেন৷''
চান্সেনকার্টেতে কী সুবিধা
যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে অপরচুনিটি কার্ডের বা চান্সেনকার্টের জন্য আবেদন করা সম্ভব৷ এর জন্য কমপক্ষে দুই বছরের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ থাকতে হবে বা নিজ দেশে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকতে হবে৷
জার্মান কিংবা ইংরেজি ভাষারও জ্ঞান থাকতে হবে৷
আবেদনকারীর ভাষা দক্ষতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, বয়স এবং জার্মানির সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিতে পয়েন্ট সিস্টেম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ চান্সেনকার্টে পেতে কমপক্ষে ছয় পয়েন্ট প্রয়োজন৷
কার্ড পেলে আবেদনকারী জার্মানিতে প্রবেশ করতে পারবেন এবং এক বছর পর্যন্ত দেশটিতে অবস্থান করে চাকরি খোঁজার অনুমতি পাবেন৷ সেই সময়ের মধ্যে আংশিক সময়ের কাজ বা পরীক্ষামূলক চাকরিতে (ট্রায়াল জব) সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন৷
বিশেষ পশ্চিম বলকান প্রকল্প
নতুন এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিম বলকান দেশগুলির চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুযোগও বেড়েছে৷ এটি অ-দক্ষ কর্মীদের জন্যও প্রযোজ্য৷
পশ্চিম বলকান অঞ্চলের দেশ আলবেনিয়া, বসনিয়া, কসভো, মন্টেনেগ্রো, উত্তর মেসিডোনিয়া এবং সার্বিয়ার নাগরিকদের ২০১৬ সাল থেকে বিশেষ বিবেচনায় কাজের অনুমতি দিয়ে আসছে জার্মান সরকার৷ প্রতি বছর পশ্চিম বলকান অঞ্চলের এই দেশগুলো থেকে অন্তত ২৫ থেকে ৫০ হাজার মানুষ জার্মানিতে আসেন কাজ করতে৷
এবার এই দেশগুলো থেকে এলে কোনো পেশাগত যোগ্যতা না থাকলেও জার্মান শ্রমবাজারে প্রবেশাধিকার থাকবে৷
যদিও পশ্চিম বলকান দেশগুলো থেকে জার্মানিতে প্রবেশের জন্য জার্মান কোম্পানির সঙ্গে চাকরির চুক্তির প্রয়োজন হবে৷
আরকেসি/আরআর (ডিপিএ, ইপিডি)