ত্রিপুরায় বিএসএফের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের সংঘর্ষ, আহত তিন
৭ জানুয়ারি ২০২৫স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, কোনও প্ররোচনা ছাড়াই ৪৯ নম্বর বিএসএফ ব্যাটেলিয়ানের দুই জওয়ান রোববার রাতে বাজারে এসে হামলা চালায়। স্থানীয় মানুষ এর প্রতিরোধ করলে বিএসএফ পাল্টা রাবার বুলেট চালায়। তাতে এক নারী ও একজন নাবালক-সহ তিনজন আহত হন। নাবালকের নাম ইমান হোসেন।
বিএসএফ জানিয়েছে, বক্সনগরে চোরাচালান হচ্ছিল। তারা সেই চোরাচালন হাতেনাতে ধরে ফেলার পর এলাকার কিছু মানুষের সঙ্গে বিএসএফ-এর বিরোধ বাধে।
রহিমপুর বাজারে ওইদিন রাতের ঘটনায় আহতর পরিবারের অভিযোগ,নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিএসএফ জওয়ানরা প্রথমে এলাকার বেশ কিছু বাইক ভাঙচুর করে। সেখানে বাধা দিতে গেলে এলাকাবাসীদের মারধর করে জওয়ানরা। মহিলাদের উপরও চড়াও হয় তারা।
অন্যদিকে বিএসএফের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ''মিথ্যে ঘটনা তুলে ধরে বিএসএফ-কে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রহিমপুরকে চোরাচালান কারবারের ‘হটস্পট' হিসেবে চিহ্নিত করে বিএসএফ এর দাবি, আহত ইমান হোসেনকে ‘অবোধ' বালক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বাসিন্দারা। আদতে সে একজন চোরাচালানকারী।''
বিএসএফ-র এই দাবি অস্বীতার করে দিয়ে আহত ইমান ও তার পরিবারের পাল্টা দাবি, কোনও কারণ ছাড়াই তাকে মারধর করা হয় এবং তার ওপর গুলি করা হয়।
বর্তমানে সে আগরতলার জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএফ জানিয়েছে, ''অশান্তির সময়ে জওয়ানরা শান্ত থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু স্থানীয়রা লাঠি ও অন্য কিছু ধারালো অস্ত্র দিয়ে জওয়ানদের ওপর হামলা চালালে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। সেই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যা প্রয়োজন ছিল, সেই পদক্ষেপই নেয়া হয়েছে।''
পাশাপাশি তারা অনুরোধ করেছেন, যাতে মানুষ কোনও ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত না হন।
মানবাধিকার কর্মী কিরিটি রায় ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''বিএসএফের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। অনেকক্ষেত্রেই তাদের সঙ্গে লেনদেন ঘটে। আর যখনই চোরাচালানের বিষয়ে কোনও মতান্তর ঘটে, তখনই এই ধরণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। আবার এটাও ঠিক যে, তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। হয়তো এক্ষেত্রেও তেমনই কিছু ঘটে থাকতে পারে।''