1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রাণবাহী জাহাজের মানবাধিকার কর্মীদের বহিষ্কার করছে ইসরায়েল

৬ জুন ২০১০

শনিবার আটক করে নিজ বন্দরে নিয়ে যাবার পর গাজার মানুষের জন্য ত্রাণবাহী আইরিশ জাহাজে থাকা মানবাধিকার কর্মী এবং ক্রু’সহ ১৯ জনকে বহিষ্কার করল ইসরায়েল৷ তবে ত্রানবাহী জাহাজের ভাগ্যে কি রয়েছে তা স্পষ্ট নয়৷

https://p.dw.com/p/NjIg
ছবি: AP

এম ভি ব়্যাচেল মেরি৷ মূলত মাল পরিবহণের কার্গো জাহাজ৷ আইরিশ পতাকাবাহী৷ মালয়েশিয়ার একটি মানবাধিকার সংস্থার উদ্যোগে এই জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী৷ শনিবার ওই জাহাজটি ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজায় প্রবেশের চেষ্টা করলে ইসরায়েলি নৌবাহিনী জাহাজটির নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়৷ পরে সেই জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় আশদদ বন্দরে৷ ওই জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়িনী মারিয়ট মাজুইরি৷

ইসরায়েলের সরকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, জাহাজের ক্রু'সহ ১৯ জনই ইসরায়েলের দেওয়া বহিষ্কার আদেশ সম্বলিত পত্রে সই করেছেন৷ তাঁদেরকে স্থানীয় একটি বিমানবন্দর থেকে নিজ নিজ দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷

Gaza Proteste Flash-Galerie
ফাইল ফটোছবি: AP

এই ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন, ৬ জন মালয়েশিয়, একজন কিউবা, একজন ব্রিটিশ, ছয়জন ফিলিপিন্সের এবং পাঁচজন আইরিশ নাগরিক৷ বহিষ্কার আদেশে সই করার আগে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াগাল পালমোর জানান, ‘আমার মনে হয় না যে এই বহিরাগতরা বহিষ্কারের বিরোধীতা করবে৷ পথ দুটো, হয় তাদের বহিস্কার মানতে হবে, অথবা তাদেরকে ইসরায়েলে অবস্থান করার অনুমতি চাইতে হবে৷ আমার মনে হয় তারা প্রথম বিকল্পটিই গ্রহণ করবে৷ আর আমার কোন ভাবেই মনে হয় না যে এই ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ একজন ইসরায়েলে অবস্থান করার সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে পারবেন৷'

পরে অবশ্য জানা যায়, ঐ মুখপাত্রের কথাই সঠিক হয়েছে৷ ১৯ জনের কেউ-ই ইসরায়েলে থাকতে চাননি৷ তাঁরা সকলেই বহিষ্কারপত্রে সই-সাবুদ দিয়ে দিয়েছেন৷ আজ রবিবার দিনের কোন এক সময়ে তাঁদেরকে বিমানে তুলে দেয়া হবে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়