তেষ্টা পেলে কাক কী করে
২৭ অক্টোবর ২০১৬জীবজন্তুর বুদ্ধির কথা মানুষ যত জানতে পারছে, ততই আশ্চর্য হচ্ছে৷ ওরাংওটাং থেকে শুরু করে পাখি কিংবা অক্টোপাস, দৃশ্যত এদের সকলেই নিছক প্রবৃত্তির বশ না হয়ে বুদ্ধি খাটিয়ে বাস্তব ও ব্যবহারিক সমস্যার সমাধান করতে পারে ৷ আবার মানুষের জন্য সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে!
বুদ্ধির একটা দিক সহজাত, আরেকটা দিক হলো শেখার ক্ষমতা৷ ২০১০ সালের এই ভাইরাল ভিডিওটিকে বলা চলে ‘চিরসবুজ'৷ এ পর্যন্ত ৩৩ লাখের বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন ও আরো দেখছেন৷ আর কিছু নয়, একটি পাতিকাকের তেষ্টা পেয়েছে, তাই সে রাস্তার ধারে বসা টুরিস্টদের কাছে এসে তাদের একজনের কাছে রাখা প্লাস্টিকের বোতলটি - না, ঠোঁট দিয়ে যে তা ফুটো করা সম্ভব নয়, এই বুদ্ধিমান বায়সপক্ষী সেটা সম্ভবত খুব ভালো করেই জানে৷
দেখা গেল, সে মানুষদের বোঝানোর চেষ্টা করছে যে তার তেষ্টা পেয়েছে৷ সে আকারে-ইঙ্গিতে এটাও বোঝালো যে তাকে পানি না দিলে সে বোতলের মালিককে উত্যক্ত করবে৷ ঘটলও তাই৷ শেষ অবধি বোতলের ছিপি খুলে, সেই ছিপিতে করে কাকেশ্বর কুচকুচেকে জল দিতে হলো৷ সেও পানি ঠোঁটে করে নিয়ে মুখ ওপরে তুলে পানি গলাধঃকরণ করল, একবার নয়, কয়েকবার৷ তারপর তেষ্টা মিটলে ‘থ্যাঙ্ক ইউ' না বলেই ফুরুৎ করে উড়ে গেল৷
এ এমন কাক, যে রাস্তার কি নর্দমার জল খোঁজে না; সে জানে যে, মানুষের কাছে প্লাস্টিকের বোতলে জল থাকে৷ সে এ-ও জানে যে, মানুষদের কিছুটা জ্বালাতন করলে সমস্যার বাকি সমাধান ঐ মানুষরাই করে দেবে৷ এই হলো বুদ্ধি, কিংবা বুদ্ধির বিবর্তন৷ তাই আমরা হাঁ করে কাকটিকে দেখি ইউটিউবের ভাইরাল ভিডিওয় আর ভাবি, ভাগ্যিস পাখিটার মাথায় কোনো বদ বুদ্ধি নেই...!
এসি/এসিবি