1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ক অবিচারের দেশ, বললেন জার্মান এমপি

১৭ আগস্ট ২০২৩

জার্মানির বামপন্থি এমপি আকবুলুতকে বিমানবন্দরে আটক করেছিল তুরস্ক। পরে তিনি বললেন, তুরস্ক অবিচারের দেশ।

https://p.dw.com/p/4VG0d
জার্মানির এই বামপন্থি এমপি-কেই আটক করেছিল তুরস্ক।
জার্মানির এই বামপন্থি এনপি-র জন্ম তুরস্কে। ছবি: Jörg Carstensen/dpa/picture alliance

ডিডাব্লিউ-র সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তুরস্কে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। তিনি সোজাসাপটা বলেছেন, ''তুরস্কে আইনের শাসন নেই, সেখানে আইন, বিচার ও প্রশাসনের মধ্যে ক্ষমতার ভাগও নেই। কোনো প্রগতিশীল গণতন্ত্রে এটা খুবই জরুরি।''

এই বামপন্থি এমপি বলেছেন, ''তুরস্কে খামখেয়ালি শাসন চলছে। সেখানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সমানে বাড়ছে। ডিক্রি জারি করে বা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেখানে বেআইনি শাসন চলছে।''

কেন গ্রেপ্তার?

গত ৩ অগাস্ট এই নারী এমপি-কে তুরস্কের বিমানবন্দরে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে একটা ওয়ারেন্ট জারি করা ছিল। তাতে অভিযোগ ছিল, আকবুলুত সন্ত্রাসবাদীদের হয়ে প্রচার করেন। তিনি ২০১৯ সালে সামাজিক মাধ্যমে কিছু পোস্ট করেছিলেন। যার ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। আকবুলুতের জন্ম হয়েছিল তুরস্কে।

২০১৯ সালে উত্তর সিরিয়ায় কুর্দদের মিলিশিয়া গোষ্ঠীর উপর আক্রমণ চালিয়েছিল তুরস্ক। আর আকবুলুত তার তীব্র সমালোচন করেছিলেন। তিনি জার্মান সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন, তারা যেন কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি(পিকেকে)-র উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

কূটনৈতিক তৎপরতায় মুক্ত

সমাজবাদী বামপন্থি দলের সদস্য আকবুলুত জানিয়েছেন, তার মুক্তির জন্য জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কে সচেষ্ট হতে হয়েছিল।  তারা তুরস্কের স্বরাষ্ট্র ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কূটনৈতিক সংকট মিটে যায়। সরকারিভাবে জানানো হয়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নেয়া হলো।

এমপি-র বক্তব্য

এই বামপন্থি এমপি বলেছেন, আগামী অক্টোবরে তিনি সরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসাবে আবার তুরস্কে যাবেন।

তবে তিনি বলেছেন, যে সব সাংবাদিক তুরস্কের সমালোচনা করেছেন, তারা সেই দেশে যাওয়ার আগে যেন আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে যান। খোঁজ নিয়ে যান, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে কি না।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)