1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তালেবানের সঙ্গে প্রথম কূটনৈতিক আলোচনা ভারতের

১ সেপ্টেম্বর ২০২১

তালেবানের সঙ্গে এই প্রথম কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করলো ভারত। দোহায় এই আলোচনা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3zkih
কাতারে তালেবান নেতা স্টানিকজাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। ছবি: Sefa Karacan/AA/picture alliance

আফগানিস্তানে এখনো আটকে আছেন বেশ কিছু ভারতীয়। তাদের যাতে নিরাপদে দেশে ফেরানো যায়, তার জন্য তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলো ভারত। তালেবান আফগানিস্তান দখল করার পর এই প্রথম কূটনৈতিক স্তরে সরাসরি আলোচনা হলো।

ভারত এখনো তালেবানের শাসনাধীন আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাদের অবস্থান হলো, চটজলদি এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। কাবুল ও অন্য শহর থেকে সব কূটনীতিক ও দূতাবাস কর্মীকে দেশে ফেরানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর ভারতীয় ও আফগানকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে। তারপরেও কিছু ভারতীয় থেকে গেছেন।

এই অবস্থায় কাতারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলোচনায় ভারতীয়দের নিরাপত্তা, তাদের দেশে ফেরানো নিয়ে কথা হয়েছে। আফগান নাগরিক, বিশেষ করে সেদেশে সংখ্যালঘুদের ভারতে আসার বিষয়েও কথা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভারত জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে যেন কোনো সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালাতে দেয়া না হয়। কাতারে তালেবান রাজনৈতিক অফিসই তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ করছে।

তালেবান নেতা বলেছেন, তারা ভারতের অনুরোধ ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন এবং ভারতের অনুরোধ যাতে রাখা যায়, তার চেষ্টা করবেন।

এই স্টানিকজাই একসময় ভারতে ছিলেন। তিনি ভারতে সেনা বাহিনীর কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত তিনি দেরাদুনে মিলিটারি অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নেন। তাকে বন্ধুরা শেরু বলে ডাকতেন। সেই শেরুই এখন ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দিল্লির বড় ভরসা।

ভারত চাইছে, ভারতীয়দের সীমান্ত পার করতে সাহায্য করুক তালেবান। তারা যদি নিরাপদে সীমান্ত পার করে কোনো প্রতিবেশী দেশে আসতে পারেন, তা হলে সেখান থেকে তাদের দিল্লি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। কাবুল বিমানবন্দরের যা অবস্থা, তাতে সেখান থেকে ভারতীয়দের নিয়ে আসতে চাইছে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতদিন তালেবানের সঙ্গে ভারত সরাসরি যোগাযোগ করেনি। অন্য কোনো দেশ বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল। এই প্রথমবার তালেবানের সঙ্গে সরাসরি কথা বললো ভারত। এটা নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই)