পরমাণু বিদ্যুৎ
১০ এপ্রিল ২০১২তামিলনাড়ুর কুড়ামকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে শ্রীলঙ্কা তেজস্ক্রিয়তার ঝুঁকির মুখে পড়ে পারে সম্প্রতি এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে সেদেশের সরকার৷ বলেছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার নজরদারি কমিটির কাছে এই ইস্যুটি তোলা হবে৷ কারণ তামিলনাড়ুর উপকূলে তৈরি এই কেন্দ্রটি শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিম উপকূলবর্তী শহর মান্নার থেকে মাত্র ২৫০ কিলোমিটার দূরে৷
এতদিন পর শ্রীলঙ্কার হঠাৎ করে এমন অভিযোগের কারণ কী? পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, আপাত কারণ হলো সেদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধীদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগ তুলে হালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে জাতিসংঘে যে প্রস্তাব আনা হয়, তাতে ভারত ভোট দেয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে৷ সেটা শ্রীলঙ্কা আশা করেনি৷
ডয়চে ভেলেকে একই কথা বললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক অনিন্দ্য মজুমদার৷ এই সময়ে শ্রীলঙ্কার এই আচরণ, হতে পারে ভারত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাউন্সিলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যে ভোট দিয়েছিল এটা তারই প্রতিফলন৷ অন্তত সময়ের হিসেবে তাই মনে হয়৷
এই ইস্যু কতদূর গড়াতে পারে? দুদেশের সম্পর্কে কতটা প্রভাব পড়তে পারে? এটা যদি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে৷ কিন্তু মনে হয় দুদেশের মধ্যে সমঝোতা হবে৷ নিজের মত কোরে সমাধানের চেষ্টা করা হবে, এমনটাই বললেন অধ্যাপক অনিন্দ্য মজুমদার৷
শুরুতে মনমোহন সিং সরকার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভোট দিতে চায়নি৷ কিন্তু মনমোহন সিং-এর জোট সরকারের বড় শরিক তামিলনাড়ুর ডিএমকে দলের চাপে প্রধানমন্ত্রী তা করতে বাধ্য হন৷ এটা না করলে ডিএমকে সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেবার হুমকি দেয়৷ ডিএমকে তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল৷ শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু তামিল জনগণের ওপর সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুর সব রাজনৈতিক দল সোচ্চার হয়৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন