1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাদের একচোখ বন্ধ কেন?

৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভিয়েতনাম থেকে ফেরা ৮১ জন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ- বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন, দেশে ফিরেও ষড়যন্ত্র করেছেন দল বেঁধে৷ অথচ তারা বলছেন, তাদের ‘অপরাধ’ শুধু প্রতারক দালালচক্রের শাস্তি দাবি করা৷

https://p.dw.com/p/3hvVX
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/Z.H. Chowdhury

পুলিশ এবং সরকারের ভাব দেখে কে বলবে দেশে ‘দালাল’ বলে কিছু ছিল বা আছে!

অনেক বড় বড় অপরাধী বিদেশে মহাসুখে দিন কাটাচ্ছে৷ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী থেকে শুরু করে নানা মাপের অপরাধী রয়েছে সেই তালিকায়৷ কয়েকজনকে সরকার শত চেষ্টা করেও দেশে ফেরাতে পারছে না, আবার কারো কারো বেলায় সরকার উদ্যোগী বলেই মনে হচ্ছে না৷ এখানে কারো নাম উল্লেখ করার দরকার নেই৷ অনেক নাম অনেকেরই খুব জানা৷

কিন্তু কী অদ্ভুত, ভিয়েতনাম থেকে ফেরা ৮১ জনকে ধরতে, ধরে দেশে নিয়ে আসতে কাউকে কোনো কষ্টই করতে হয়নি৷ তাদের দাবি এবং সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে লোভনীয় কাজের কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে কেটে পড়া দালালচক্রের শাস্তি দাবি করেছিলেন তারা৷ সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাদের৷

Ashish Chakraborty
আশীষ চক্রবর্ত্তী, ডয়চে ভেলেছবি: DW/T. Mehedi

খুব সরল-সহজ প্রশ্ন, যদি অপরাধীই হবেন তাহলে পুলিশের দৃষ্টি এড়ানোর কোনো চেষ্টা না করে প্রকাশ্যে দূতাবাসের সামনে কেন হাজির হবেন তারা?

তারা কি ভিয়েতনামে সত্যিই অপরাধকর্মে জড়িয়ে জেল খেটেছেন? নাকি দূতাবাসের অসহযোগিতা কিংবা অভিযোগের কারণে তাদের আটক করে দেশে ফেরানো হয়েছে?

প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা খুব কঠিন নয়৷ কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সেরকম কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি৷ দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দূরে থাক, একটি বাক্যব্যয় করতেও দেখা যায়নি সংশ্লিষ্টদের কাউকে৷

এ কেমন কথা? ভিয়েতনাম থেকে ফেরা ৮১ জন এবং কাতার থেকে ফেরা ২ জনও তো বাংলাদেশের নাগরিক৷ বিদেশে তারা পালিয়ে বেড়াননি, দেশে ফেরার পর কোয়ারান্টিনেও থেকেছেন তারা৷ সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা ছাড়া সবাইকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিলে কি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে, নাকি ‘দালালবান্ধব’ একচোখা নীতি স্পষ্ট হবে সারা বিশ্বের কাছে?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য