তাজিয়া মিছিল
বুক চাপড়ে, ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতমে ফোরাত তীরের কারাবালার ঘটনাকে স্মরণ করে বাংলাদেশে বর্ণিল তাজিয়া মিছিল করেছেন শিয়া মুসলমানরা৷
মূল মিছিল
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এবারও পুরান ঢাকার হোসনী দালানের ইমামবাড়া থেকে বের হয় তাজিয়া মিছিল৷
কঠোর নিরাপত্তা
কারবালার স্মরণে আশুরার দিনে ঢাকাসহ সারাদেশেই তাজিয়া মিছিল করেন শিয়া মুসলমানরা৷ ২০১৫ সালে ঢাকায় এই মিছিল শুরুর প্রস্তুতিকালে বোমা হামলা হওয়ায় এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মত৷
শোকের মাতম
ধারালো কোনো জিনিসপত্র নিয়ে তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণে নিষেধজ্ঞা থাকলেও কারবালার স্মরণে শোকের মাতম করেন অনেকই৷
ছিল না ধারালো অস্ত্র
শোক মিছিলে সকল প্রকার ধারালো অস্ত্র, ধাতব পদার্থ, দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, পোটলা, লাঠি, ছোঁড়া, চাকু, তলোয়ার, বর্শা, বল্লব এবং আতশবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল৷ ফলে কারো কারো পোশাকে ফুটে উঠে বৈচিত্র্য৷
বর্ণিল মিছিল
নিরাপত্তার খাতিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও তা তাজিয়া মিছিলের রঙে ভাটা ফেলতে পারেনি৷
মিছিলে শিশুরাও
পুরান ঢাকায় ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিলে অভিভাবকদের সঙ্গে অংশ নেয় শিশুরাও৷
নারীরাও মিছিলে
আশুরা উপলক্ষে মঙ্গলবার পুরান ঢাকার হোসাইনি দালান থেকে বের হওয়া তাজিয়া মিছিলে শিয়া নারীদেরও দেখা যায়৷
এক কাতারে সামিল সবাই
শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় এই উৎসবে সব ভেদাভেদ ভুল গিয়ে সব গোত্রর মসুলমানরাই অংশ নেন তাজিয়া মিছিল ও আশুরার অন্যান্য অনুষ্ঠানে৷
বিশ্বাস ও ভালোবাসা
১৩৩৯ বছর আগে এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে যুদ্ধে শহীদ হন৷ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তাকে স্মরণ করে মাতম করেন শিয়া মসুলমানরা৷
এসআই/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)