1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ান নিয়ে চীনকে হুমকি বাইডেনের

২৪ মে ২০২২

চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে অ্যামেরিকা তাতে হস্তক্ষেপ করবে এবং লড়াইয়ে সামিল হবে। টোকিও-তে মন্তব্য বাইডেনের।

https://p.dw.com/p/4BlfO
জো বাইডেন
ছবি: David Mareuil/AP Photo/picture alliance

অ্যামেরিকা ওয়ান চায়না পলিসিতে চলে। তারা বিশ্বাস করে, তাইওয়ানের সায়ত্ত শাসনের অধিকার আছে। বস্তুত, তাইওয়ানের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে এবিষয়ে চুক্তিও করে অ্যামেরিকা। সোমবার টোকিও-তে সাংবাদিকদের মুখোমুকি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে অ্যামেরিকার অবস্থান কী হবে। বাইডেন জানান, সেক্ষেত্রে অ্যামেরিকা সরাসরি তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে। যুদ্ধে অংশ নিয়ে তাইওয়ানকে সাহায্য করবে। কারণ, অ্যামেরিকা এবিষয়ে চুক্তিবদ্ধ।

বাইডেনের এই বক্তব্য কূটনৈতিক মহলে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে সত্যিই কী সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেয়ার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ অ্যামেরিকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তাইওয়ানকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার কথা অ্যামেরিকার। চুক্তিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান যাতে নিজেকে রক্ষা করতে পারে, তার জন্য সবরকম সহায়তা দেবে অ্যামেরিকা। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধের কথা কোথাও বলা নেই।

বাইডেন অবশ্য জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর তার আশঙ্কা আরো বেড়েছে। ইউক্রেনকে সাহায্য করা হচ্ছে, তাইওয়ানকেও সাহায্য করা হবে। চারদিনের এশিয়া সফরে গেছেন বাইডেন। দুইদিন দক্ষিণ কোরিয়ায় থেকে সোমবার বিকেলে তিনি টোকিও পৌঁছেছেন। সেখানে কোয়াডের বৈঠক করার কথা তার।

বাইডেনের এই মন্তব্যের পর পেন্টাগনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অস্টিন। তিনি জানিয়েছেন, অ্যামেরিকার চীন নীতি বদলায়নি। তাইওয়ানকে সবরকম সাহায্যের কথাই বলেছেন বাইডেন। সম্প্রতি ইউক্রেন-যুদ্ধের কথা মাথায় রেখেই নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অস্টিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অ্যামেরিকার সামরিক নীতিতে বদল ঘটেনি। এবং প্রয়োজনে তাইওয়ানকে অস্ত্র দিয়েই সাহায্য করা হবে।

চীনের প্রতিক্রিয়া

বাইডেনের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে চীন। তারা জানিয়েছে, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অ্যামেরিকার নাক গলানোর কোনো অধিকার নেই। তাইওয়ানের সঙ্গে সমস্যা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অ্যামেরিকা তা নিয়ে মন্তব্য করে ভুল বার্তা দিচ্ছে। অ্যামেরিকা যুদ্ধে নামলে চীনও যে ছেড়ে কথা বলবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

বস্তুত, তাইওয়ানের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছে চীনের। তাইওয়ানের একাধিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করছে শি জিনপিংয়ের সরকার। তাইওয়ানের আকাশে একাধিকবার চীনের যুদ্ধবিমানের মহড়া দেখা গেছে। সব মিলিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চীন-তাইওয়ান সম্পর্কও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)