1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তথ্যসচিবকে ‘বাধ্যতামূলক' অবসর, যা বললেন সচিব ও মন্ত্রী

১৭ অক্টোবর ২০২২

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে ‘জনস্বার্থে' অবসরে পাঠিয়েছে সরকার৷ এই বিষয়ে আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4IHCf
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘অন্তর্নিহিত কারণ কি, সেটা জানি না৷’’ছবি: bdnews24.com

কেন তাকে অবসরে পাঠানো হলো জানতে চাইলে সচিবালয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি জানি না আমাকে কেন অবসরে পাঠানো হলো৷ মানুষকে ফাঁসি দিলেও তো একটা ট্রায়াল হয়, কিন্তু আমি জানি না কোন কারণে এই সিদ্ধান্ত৷''

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করায় তার বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এই অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘আমরা লন্ডেনে গিয়েছিলাম মার্চে, একটা টিম নিয়ে৷ আমাদের প্রেসের দায়িত্বে আছেন আশিকুন্নবি৷ তার কাছে জিজ্ঞাসা করলে পরিষ্কারভাবে বিষয়টি জানা যাবে৷''

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি মার্চে লন্ডন গিয়েছিলাম৷ এই অভিযোগের বিষয়টি সত্য হলেও সেটা তো মার্চ মাসে হয়েছে, আজ তো অক্টোবর৷ এতদিন এই প্রশ্ন আসেনি কেন? আমি তারেক রহমানকে কোনোদিন দেখেছি বলে মনে পড়ে না এবং তারেক রহমানকে দেখার ইচ্ছাও আমার নেই৷''

তার চাকরির মেয়াদে বিএনপি সরকারের আমলেও তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হয়নি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সামনা-সামনি তাদের দেখা হয়নি৷ তিনি বলেন, ‘‘তিনি তো মন্ত্রীও ছিলেন না, এমপিও ছিলেন না৷ টেলিভিশনে তাকে দেখেছি, সেটা তো স্বাভাবিক৷''

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনারা তথ্য সংগ্রহ করেন, আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম কি না৷ দুর্নীতি দুই রকমের, একটা আর্থিক দুর্নীতি, আরেকটা ইন্টেলেকচুয়াল দুর্নীতি৷ আপনারা প্রতিদিন এখানে আসবেন৷ আমি ইন্টেলেকচুয়াল ও আর্থিকভাবে কতটা স্বচ্ছ ছিলাম, কতটা অস্বচ্ছ ছিলাম, তা জানতে পারবেন৷''

এদিকে, চাকরির নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্য ও সম্প্রচারসচিব মো. মকবুল হোসেনকে ‘বাধ্যতামূলক' অবসরে পাঠানোর অন্তর্নিহিত কারণ সম্পর্কে জানেন না তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ৷ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘অন্তর্নিহিত কারণ কি, সেটা জানি না৷ অন্তর্নিহিত কারণ বলতে পারবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়৷''

গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে সচিব মকবুল হোসেনকে অবসর প্রদান করা হলো৷ ধারাটিতে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কারণ দর্শানো ছাড়াই তাঁকে চাকরি থেকে অবসর দিতে পারবে৷ তবে যে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হবে৷

মকবুল হোসেনের চাকরির মেয়াদ আরও বছরখানেক ছিল৷ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজমের সইয়ে জারি প্রজ্ঞাপনে মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠানোর কথা জানানো হয়৷ মকবুল হোসেন ২০২১ সালের ৩১ মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে যোগ দেন৷ এই পদে যোগ দেওয়ার আগে তিনি যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷

এপিবি/কেএম (প্রথম আলো, ডেইলি স্টার)