ডোপপাপী জনসনের মাদকবিরোধী উপদেশ
৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে ক্যানাডার বেন জনসন পুরুষদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সোনা জিতেছিলেন বিশ্বরেকর্ড গড়ে৷ তারপর আনন্দ-উল্লাসেই বাকি জীবন কাটানোর কথা৷ কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই এসেছিল সর্বনাশের খবর৷ নিষিদ্ধ ‘স্টেরয়েড' নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন – ড্রাগ টেস্টে তা প্রমাণিত হয়ে যাওয়ায় অলিম্পিক পদক তো গেলই, সারাজীবনের জন্য ক্রীড়াঙ্গন থেকে নিষিদ্ধও হতে হলো জনসনকে৷ সেই থেকে অ্যাথলেটিক্স বিশ্বের এক সময়ের নায়ক যেন চিরকালের খলনায়ক৷ কোনো ক্রীড়াবিদ ড্রাগ নিয়ে ধরা পড়লেই সবার আগে আসে তাঁর প্রসঙ্গ৷ সম্প্রতি টাইসন গে এবং ভেরোনিকা ক্যাম্পবেল-ব্রাউন ড্রাগ নিয়ে ধরা পড়ার পরও তা-ই হয়েছে৷
বেন জনসন মনে করেন, এটা খুব স্বাভাবিক৷ তাঁর মতে, ক্রীড়াবিদরা এখনো যে বাঁকা পথে খ্যাতি অর্জনের চেষ্টা করছেন এটাও স্বাভাবিক, কারণ, তাঁর সময়ের মতো চারপাশে এখনো শুধু প্রলোভন আর প্রলোভন৷ রাতারাতি বড় লোক এবং বড় তারকা হওয়ার জন্য অন্যায় পথ দেখিয়ে দেয়ার লোকেরও অভাব নেই৷ সবাই যাতে কোনো অন্যায় পথ না ধরে খ্যাতি অর্জনের চেষ্টা করে – ক্রীড়াবিদদের মাঝে এই চেতনা জাগানোর চেষ্টা করছে ‘পিওর স্পোর্টস'৷ মজার ব্যাপার হলো, বেন জনসনও শরিক হয়েছেন এ আন্দোলনে৷ এক সাক্ষাৎকারে সে খবর জানিয়ে ক্রীড়াবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘‘ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া যদি করো, যদি ঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নাও, বিশ্রাম নাও আর যদি মদ্যপান না করো, তাহলে পারফর্ম্যান্স ভালো করার ড্রাগ না নিয়েই তুমি লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে৷''
ডোপপাপীর জীবন কত কষ্টের তা বেন জনসনের চেয়ে ভালো খুব কম ক্রীড়াবিদই জানেন৷ নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থা না রাখার ফলে সবচেয়ে বড় মূল্যই দিতে হয়েছে তাঁকে৷ এখন তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ উপদেশ এ যুগের অ্যাথলেটরা শুনলেই হয়!
এসিবি/ডিজি (এপি)