1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডানপন্থিদের সাফল্যে উদ্বিগ্ন চ্যান্সেলর ও বিরোধী নেতা

২৪ জুন ২০২৪

জার্মানি তথা ইউরোপে চরম দক্ষিণপন্থিদের নির্বাচনি সাফল্যের কারণে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন শলৎস ও বিরোধী নেতা ৷ ম্যার্ৎস৷ ইউক্রেনসহ একাধিক প্রশ্নে তাঁরা ঐকমত্যও দেখিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/4hPte
জার্মানির বিরোধী নেতা ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস (ফাইল ফটো)
চরম দক্ষিণপন্থিদের নির্বাচনি সাফল্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জার্মানির বিরোধী নেতা ম্যার্ৎসছবি: Bernd Elmenthaler/IMAGO

জার্মানিতে গ্রীষ্মের ছুটির বিরতির আগে শীর্ষ রাজনীতিকদের সাক্ষাৎকারের প্রথা রয়েছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং সিডিইউ দলের নেতা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস দুটি ভিন্ন সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন৷ সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানির পূর্বে কয়েকটি রাজ্য নির্বাচনে চরম দক্ষিণপন্থিএএফডি দলের সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা দুজনেই উদ্বিগ্ন৷ প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্সে আগাম সংসদ নির্বাচনে চরম দক্ষিণপন্থি আরএন দলের জয়ের সম্ভাবনাও তাঁদের অস্বস্তির কারণ৷ রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনকে সামরিক ও অন্যান্য সহায়তার প্রশ্নেও তাঁদের ঐকমত্য রয়েছে৷ শলৎসের মতে, জার্মানির পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনের জন্য সহায়তাও সরকারের শরিক দলগুলির প্রতি সমর্থন কমার অন্যতম কারণ৷

অন্যান্য অনেক বিষয়ে অবশ্য চ্যান্সেলর ও বিরোধী নেতার মধ্যে মতের মিল নেই৷ সদ্য সমাপ্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে শলৎসের এসপিডি দল শোচনীয় ফল দেখিয়েছে৷ তাঁর জোট সরকারের বাকি দুই শরিক দলেরও ভরাডুবি হয়েছে৷ অতীতের কিছু ভুলত্রুটি মেনে নিলেও শলৎস নিজস্ব অবস্থানে অটল রয়েছেন৷ এমনকি ২০২৫ সালে জার্মানির সংসদ নির্বাচনে তিনি আবার চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে ভোটারদের মুখোমুখি হতে চান৷ অন্যদিকে ম্যার্ৎস বর্তমান সরকারের নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন৷ পূবের রাজ্যগুলিতে এএফডি দলের উত্থান রুখতে তিনি জোট সরকারের দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভোট ‘নষ্ট না করে' শুধু সিডিইউ দলের প্রতি সমর্থনের অনুরোধ জানিয়েছেন৷

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে স্যাক্সনি, টুরিঙ্গিয়া ও ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের নির্বাচনে এএফডি দলের নির্বাচনি সাফল্যের সম্ভাবনার মুখে জার্মান চ্যান্সেলর ও বিরোধী নেতা মরিয়ে হয়ে এমনকি সদ্য গঠিত এক দলের সঙ্গে সহযোগিতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷ মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির শোচনীয় ফলাফল দেখা দিলে শলৎস ও ম্যার্ৎস ‘সারা ভাগেনক্নেশ্ট জোট' নামের দলের সঙ্গে জোট বাঁধতেও প্রস্তুত৷ উল্লেখ্য, বামপন্থি দলের এই প্রাক্তন নেতা নিজের নামেই এক রাজনৈতিক দল গঠন করে জনমত সমীক্ষায় আপাতত বেশ এগিয়ে রয়েছেন৷ শলৎস ও ম্যার্ৎস এই দলের ‘পপুলিস্ট' ও অস্পষ্ট নীতির সমালোচনা করলেও রাজ্য স্তরে সেই দলের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত৷

করোনা থেকে শুরু করে ইউক্রেন সংকটের কারণে মানুষের মনে বেড়ে চলা অনিশ্চয়তাকে শলৎস সরকারের শরিক দলের নির্বাচনি ব্যর্থতার কারণ হিসেবে তুলে ধরেন৷ তবে তাঁর মতে, কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও তাঁর নেতৃত্বে সরকার সঠিক দিশায় অগ্রসর হচ্ছে৷ তবে সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারছে না প্রধান বিরোধী সিডিইউ ও সিএসইউ দল৷ জনমস সমীক্ষায় তাদের নেতা ফ্রিডরিস ম্যার্ৎসও শলৎসের মতোই বেশ পিছিয়ে রয়েছেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)