1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রেন ব্রেকিংয়ে উৎপাদিত শক্তিতে উষ্ণ হোটেল

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

সুইজারল্যান্ডের স্টুস ফানিকুলার ট্রেন বিশ্বের অন্যতম খাড়া পাহাড় বেয়ে ওঠানামা করে৷ ট্রেনটি ব্রেকিংয়ের সময় উৎপাদিত শক্তি দিয়ে পাহাড়ের উপরের একটি হোটেল উষ্ণ রাখা হয়৷

https://p.dw.com/p/4ohaU
পাহাড় বেয়ে উঠছে ট্রেন
জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পাহাড় বেয়ে উঠে এমন ট্রেন দেখা যায়৷ ফাইল ফটো ছবি: Uli Deck/dpa/picture alliance

সুইজারল্যান্ডের স্টুসবান বিশ্বের সবচেয়ে খাড়া পাহাড়ি রুটে চলা ফানিকুলার ট্রেন৷ কেবল রেলওয়ে কারটিকে কোথাও কোথাও ১১০ শতাংশ গ্রেডিয়েন্টও অতিক্রম করতে হয়৷ এটি সুইস শহর সুয়িৎস এবং সেখান থেকে ১৩০০ মিটার দূরে অবস্থিত উইন্টার রিসর্ট স্টুসের মধ্যে চলাচল করে৷

খাড়া ভূখণ্ডের কারণে ট্রেনটির প্রায়ই কড়া ব্রেক কষতে হয়৷ এতে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা সংগ্রহ সম্ভব৷ আর এই জ্বালানি ট্রেন লাইনের কাছের একটি হোটেল উষ্ণ রাখতে যথেষ্ট৷

শক্তি সংগ্রহের এই পদ্ধতির কারিগরি নাম হচ্ছে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং৷ প্রকৌশলী রেনে কখ্ ট্রেনের ইঞ্জিন রুমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘শুরুতে ট্রেনটির খাড়া ঢাল বেয়ে উঠতে জ্বালানির প্রয়োজন হয়৷ এরপর মাঝখানে কারগুলো একে অপরকে অতিক্রম করে৷ সেটা হচ্ছে টিপিং পয়েন্ট৷ এবং সেখান থেকে এটিকে টেনে তোলা হয়৷ তার অর্থ হচ্ছে ইলেক্ট্রিক মোটরের প্রথমে শক্তি দরকার হয় এবং তারপর অর্ধেক পথ অতিক্রম করে এটি উৎপাদন শুরু করে৷ আর আমরা সেই বিদ্যুৎ পানি গরমে ব্যবহার করি৷''

আর এর প্রভাব বিস্ময়করভাবে বেশি৷ ব্রেকিং এন্ড ওয়েস্ট হিট থেকে বছরে চার লাখ দশ হাজার কিলোওয়াট ঘন্টার শক্তি উৎপাদন হয়৷ একই পরিমান শক্তি উৎপাদনে অন্যথায় ৪১ হাজার লিটার হিটিং অয়েল পোড়াতে হতো৷ 

এই জ্বালানি হোটেলটি কাজে লাগায়৷ উৎপাদিত বিদ্যুৎ শক্তি প্লাগ-ইন টিক্যাটেলের মতোই পানি গরম করে৷ হোটেলটি স্টেশনের কাছেই অবস্থিত হওয়ায় সুবিধা হয়েছে৷ ইঞ্জিনিয়ার এবং কেবল কার বিশেষজ্ঞ রেনে কখ্ বলেন, ‘‘কম দূরত্বের অর্থ হচ্ছে তাপের কম অপচয়৷ নির্মাণের কথা বিবেচনা করলে কাছাকাছি হওয়ায় সংযোগ তৈরিতে কম হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে৷’’

সুইজারল্যান্ডে যেভাবে ট্রেন ব্রেক কষলে তৈরি হয় জ্বালানি

হোটেলটির সব কামরা এবং রান্নাঘরে গরম পানি পৌঁছে যায়৷ এটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মারসেল ন্যয়েহাউস পাহাড়ি রেলপথ থেকে উৎপাদিত তাপ কাজে লাগাতে পেরে খুশি৷ কারণ জ্বালানির খরচ ক্রমশ বাড়ছে৷   

মারসেল ন্যয়েহাউস বলেন, ‘‘স্টুসবানের কাছ থেকে আমরা কম খরচে বিদ্যুৎ কিনতে পারি৷ আর যে টাকা আমরা দেই তা সরাসরি ট্রেনের পেছনেই ব্যয় হয়৷ ফলে অর্থ স্থানীয় পর্যায়েই থাকে৷ অর্থাৎ ছোট্ট একটি বৃত্তাকার অর্থনীতি চালু রয়েছে এখানে৷ আমাদের সবার জন্য ভালো এটি৷''

সুইজারল্যান্ডের অনেক হোটেল এবং রেস্তরাঁ এরকম স্টেশনের কাছে অবস্থিত৷ এবং সেগুলোর অনেক জ্বালানি প্রয়োজন৷ ফলে সেখানে আরো প্রকল্পের চাহিদা রয়েছে৷ ল্যুকার্ন ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লাইড সায়েন্সের প্রকৌশলী অলিভিয়ার ডুভানেলের মতে অন্যান্য স্থানেও টেকসই ধারনার প্রয়োগ করা যেতে পারে৷ ল্যুকার্ন ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লাইড সায়েন্সের তড়িৎ প্রকোশলী অলিভিয়ার ডুভানেল বলেন, ‘‘অ্যাপ্লিকেশনটি নিজে ততটা জটিল নয়, কিন্তু কেবল কার প্রযুক্তি এবং ভবনের প্রযুক্তির মধ্যে ভালো সমন্বয় থাকতে হবে৷ যদি সেটা হয় তাহলে বড় প্রকল্প নেয়া সম্ভব৷''

প্রতিবেদন: রাফায়েল প্রিন্স/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান