1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনের ফল নিয়ে ট্রাম্পের সংশয় প্রকাশ

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সংশয় দেখালেও তাঁর দলের নেতারা ভিন্নমত পোষণ করছেন৷ এফবিআই সংশয়ের কারণ দেখছে না৷ বিরোধীরা ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করছে৷

https://p.dw.com/p/3iylG
ছবি: Tom Brenner/Reuters

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গেলে ডনাল্ড ট্রাম্প শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন কিনা, সে বিষয়ে তিনি নিজেই সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ দেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে ঘিরে খোদ প্রেসিডেন্টের সন্দেহ ও এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের কারণে সে দেশে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি হচ্ছে৷ দুই রাজনৈতিক শিবিরের নেতারাই নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা দেখিয়ে ট্রাম্পের অবস্থানের বিরোধিতা করছেন৷

প্রায় সব বিষয়ে ট্রাম্পের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে এলেও রিপাবলিকান দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা নির্বাচনি প্রক্রিয়া ও ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে ট্রাম্পের মনোভাবের সঙ্গে একমত নন৷ উচ্চ কক্ষ সেনেটে সংসদীয় দলের প্রধান মিচ ম্যাককনেল সরাসরি ট্রাম্পের সমালোচনা না করলেও এক টুইট বার্তায় লেখেন, যে ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনে যার জয় হবে, ২০শে জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন৷ ১৭৯২ সাল থেকে প্রতি চার বছর অন্তর যেমনটা হয়ে এসেছে, এবারও নিয়ম মেনে তেমনভাবেই ক্ষমতার হস্তান্তর হবে৷

সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ট্রাম্পকে এ কথা মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি যে তিনি উত্তর কোরিয়া, তুরস্ক বা রাশিয়ায় নেই৷

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কেলেই ম্যাকএনানি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট মুক্ত ও অবাধ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবেন৷ তবে ট্রাম্প আসন্ন নির্বাচনকে আদৌ ‘মুক্ত ও অবাধ’ মনে করছেন কিনা, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি তিনি৷ উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট বার বার ডাকযোগে ব্যালটের ক্ষেত্রে কারচুপির সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন৷ তাঁর অভিযোগ, সেই লক্ষ্যেই বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দল ভোটারদের ‘মেল ইন’ ভোট দিতে উৎসাহ দিয়ে চলেছে৷

সেনেটে ডেমোক্র্যাটিক সংসদীয় দলের প্রধান চাক শুমার বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আপনি স্বৈরাচারি শাসক নন এবং অ্যামেরিকা আপনাকে সেটা হতে দেবে না৷'' শুমার ট্রাম্পকে অ্যামেরিকার গণতন্ত্রের জন্য চূড়ান্ত হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেন৷

অ্যামেরিকার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই মেল-ইন ব্যালটের কারণে বিশাল কারচুপির আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে৷ তবে বিষয়টিকে ঘিরে ভুয়া খবর সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে এই সংস্থা৷

আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গেলে এবং দুই প্রার্থীর মধ্যে সমর্থনের ব্যবধান কম হলে ট্রাম্প ফেডারেল কোর্টে সেই ফলাফল চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, এমন আশঙ্কা বাড়ছে৷ সে ক্ষেত্রে ইলেক্টোরাল কলেজের যথেষ্ট সংখ্যক ভোটের দৌলতে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করতে পারেন৷ উল্লেখ্য, অ্যামেরিকার ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত শুধু ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছিল৷ রিপাবলিকান দলের প্রার্থী জর্জ ডাব্লিউ বুশ ও ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী অ্যাল গোরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সুপ্রিম কোর্ট বুশকেই জয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)