1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-রাশিয়া আঁতাত নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকছে না

১৯ আগস্ট ২০২০

২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে মদত করতে রাশিয়ার অবৈধ হস্তক্ষেপের প্রমাণ তুলে ধরলো সেনেট ইনটেলিজেন্স কমিটি৷ তবে তদন্তে সরাসরি ট্রাম্পকে দায়ী করা হয় নি৷ ট্রাম্পও অভিযোগ অস্বীকার করছেন৷

https://p.dw.com/p/3hAcN
ফাইল ছবিছবি: Reuters/U.S. Senate TV

৩রা নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জোরালো প্রস্তুতির মাঝে চার বছর আগের কালো ছায়া আবার উঠে আসছে৷ ২০১৬ সালের নির্বাচন প্রভাবিত করতে রাশিয়ার ভূমিকার কোনো অকাট্য প্রমাণ পাওয়া না গেলেও মার্কিন সংসদের উচ্চ কক্ষের এক কমিটি ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার যোগাযোগের একাধিক দৃষ্টান্ত সম্পর্কে জানতে পেরেছে৷ রিপাবলিকান দল নিয়ন্ত্রিত সেনেটের ইনটেলিজেন্স কমিটি প্রায় এক হাজার পাতার রিপোর্টে বিষয়টি সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে৷

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপর রাশিয়ার অনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে প্রায় তিন বছর ধরে তদন্তের পর প্রকাশিত চূড়ান্ত রিপোর্টে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে৷ রিপোর্ট অনুযায়ী মস্কো যে ট্রাম্পের সাফল্য নিশ্চিত করতে জোরালো উদ্যোগ চালিয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই৷ তাছাড়া ট্রাম্পের প্রচার অভিযানের সভাপতি পল ম্যানাফোর্ট রাশিয়ার এক গোয়েন্দা অফিসারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন৷ ট্রাম্পের সহযোগীরাও মস্কোর সহায়তা পেতে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন৷ রুশ গোয়েন্দা সংস্থা ডেমোক্র্যাটিক দলের ই-মেল সার্ভার হ্যাক করে যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল, তা থেকে যতটা সম্ভব ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছেন তাঁরা৷ ট্রাম্পের বড় ছেলে ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়ার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিন্টন সম্পর্কে গোপন ও ক্ষতিকারক তথ্য পাবার আশায় এক রুশ আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন৷ উইকিলিক্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রাশিয়া ট্রাম্পের সহায়তা করেছিল বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে৷

মোটকথা রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের অবৈধ যোগাযোগ যে কাকতালীয় নয়, সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত – সে বিষয়ে আর কোনো সংশয় রইলো না৷ অর্থাৎ ট্রাম্প নিজে এতকাল এমন যোগাযোগ অস্বীকার করে এলেও সেই দাবি আর ধোপে টিকবে না৷ এফবিআই প্রধান হিসেবে রবার্ট মালার যে তদন্ত করেছিলেন, তার ফলাফলের সঙ্গে সেনেটের রিপোর্টেরও অনেক মিল পাওয়া গেছে৷ তা সত্ত্বেও ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেন, তিনি এই রিপোর্ট সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই৷

সেনেটের ইনটেলিজেন্স কমিটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘রাশিয়া-কেলেঙ্কারি’-র আলোকে ভবিষ্যতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া৷ এর আওতায় অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷ সেনেটের জুডিশিয়ারি ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিও রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে আলাদা তদন্ত চালাচ্ছে৷ সেই তদন্তেও এফবিআই-এর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

মার্কিন সেনেটের ইনটেলিজেন্স কমিটির রিপোর্টের কিছু অংশ গোপনীয়তার স্বার্থে প্রকাশ্যে আনা হয় নি৷ যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ সত্ত্বেও রিপোর্টে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয় নি৷ কমিটির কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য নিজস্ব বক্তব্য যোগ করে হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করলেও প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের প্রচার অভিযানকে অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছেন৷ তাঁরা এই রিপোর্টের আলোকে অ্যামেরিকার জনগণকে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবার আহ্বান জানিয়েছেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি)