1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্প-প্রস্তাবিত বিল হাউসে খারিজ, শাটডাউনের মুখে সরকার

২০ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারি খরচ চালাবার জন্য ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত প্যাকেজ-সহ বিল খারিজ। শাটডাইনের মুখে ফেডারেল সরকার।

https://p.dw.com/p/4oO8D
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অনুমোদিত বিল হাউসে পাস হলো না, সরকারের সামনে সাটডাউনের আশঙ্কা। ছবি: Brian Snyder/REUTERS

সাময়িকভাবে সরকারি খরচ চালাতে এবং সরকারি শাটডাউন এড়াতে এই বিল পাস করার দরকার ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান সংখ্যাধিক্য থাকা সত্ত্বেও মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে তা পাস করানো সম্ভব হলো না। ৩৮ জন রিপাবলিকান সদস্য বিরুদ্ধে ভোট দিলেন। অধিকাংশ ডেমোক্র্যাট সদস্যও বিরুদ্ধে ভোট দেন। শুক্রবার রাতের মধ্যে নতুন প্রস্তাব পাস না করলে শনিবার থেকে শাটডাউনের মুখে পড়বে সরকার।

এই শাটডাউনের অর্থ, সীমান্ত সুরক্ষা, হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মতো জরুরি বিষয়গুলি চালু থাকবে। কিন্তু অনুমোদিত অর্থ না থাকায় জরুরি নয় এমন সব ক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক সরকারি কর্মী বেতন পাবেন না।

আগের পরিকল্পনা খারিজ করেন ট্রাম্প ও মাস্ক

এর আগে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের সম্মতিতে খরচ চলাবার একটি সাময়িক প্যাকেজ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার সহযোগী ইলন মাস্ক গত বুধবার তা খারিজ করে দেন।

তার জায়গায় নতুন একটি প্যাকেজ নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার ট্রাম্প জানান, তিনি এই নতুন পরিকল্পনা সমর্থন করছেন। সেখানে আগামী দুই বছর জাতীয় সরকারের ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সিলিং রাখা হয়নি

ডেমোক্র্য়াটরা জানিয়ে দেয়, তারা এই প্রস্তাব সমর্থন করবে না। তাদের মতে, এই প্রস্তাব হাস্যকর।

ট্রাম্পের আবেদন সত্ত্বেও

ট্রাম্প বলেন, সরকারের শাটডাউন এড়াতে সদস্যরা যেন নতুন পরিকল্পনাকে সমর্থন করে। তিনি জানান, এই পরিকল্পনায় অ্যামেরিকার মানুষের জন্য খুব ভালো একটি ডিল নিয়ে আসা হয়েছে।

হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাদের ২১৯ জন সদস্য আছে, বিরোধী সদস্যদের সংখ্যা ২১১।

চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প ও মাস্ক?

রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এর আগে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় সরকারের খরচ চালাবার জন্য একটা অন্তর্বর্তী বিল নিয়ে সম্মত হয়েছিলেন।

কিন্তু ট্রাম্পের ধনকুবের সহযোগী ইলন মাস্ক এক্স হ্যান্ডেলে এই বিলের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সেখানে প্রচুর ব্যয়বহুল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

পরে ট্রাম্পও ওই বিলের সমালোচনা করেন এবং হুমকি দেন, এই বিল যে সব রিপাবলিকান সদস্য সমর্থন করবেন, তাদের আবার প্রার্থী হওয়া কঠিন হবে। প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট দাবি করেন, বিলে ঋণের সীমা বাড়াতে হবে বা সেই সীমাই রাখা যাবে না। 

নতুন প্যাকেজে কী ছিল?

রিপাবলিকানরা তাড়াহুড়ো করে নতুন বিল নিয়ে আসে। সেখানে বলা হয়, তিন মাসের জন্য ফেডারেল সরকারের খরচ চালাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ১০ হাজার কোটি ডলার, কৃষি ও খাদ্যে সাহায্যের জন্য এক হাজার কোটি ডলার রাখা হয়।

কিন্তু এই বিলে ২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণ নেয়ার সীমা তুলে দেয়ার কথা বলা হয়। এর ফলে সরকারের হাজার হাজার কোটি ডলারের ঋণ নেয়ার পথ প্রশস্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এখন বিপুল পরিমাণ ঋণ রয়েছে। এই বিল অনুমোদিত হলে সেই ঋণের পরিমাণ আরো অনেকটা বাড়ার সম্ভাবনা ছিল।।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)