1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’

৪ অক্টোবর ২০১১

দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলার অভিযোগ গঠিত হল ঢাকায়৷ দীর্ঘদিনের দাবি পূরণই শুধু নয়, এর মাধ্যমে এক নতুন ভবিষ্যতের সূচনা দেখছেন দেশ টিভির যুগ্ম সম্পাদক সুকান্ত গুপ্ত অলক৷

https://p.dw.com/p/12kzS
দেলোয়ার হোসেন সাঈদীছবি: bdnews24.com

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছিল দেড় বছর আগে৷ এতোদিনে প্রথমবার কোনো একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনাল তার যাত্রা শুরু করলো৷ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলকের মতে, সে কারণে এই তেসরা অক্টোবর, ২০১১ তারিখটা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন৷ যেদিনে বর্তমানে ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকার, তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বজায় রাখার সাহস দেখিয়েছে৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, এই প্রতিশ্রুতি ছিল এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই৷

যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই ট্রাইব্যুনাল৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রস্তাবের পর স্বভাবতই তার পক্ষে এবং বিপক্ষে মতামত শোনা গিয়েছিল দেশে৷ অপরাধী বলে যাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের রাস্তা যাতে খোলা থাকে, তার প্রয়োজনীয়তাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ সেসব দিকই বজায় রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সুকান্ত গুপ্ত অলক৷ পাশাপাশি, তিনি যে বিষয়টি নির্দেশ করেছেন, তা হল, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে যে তদন্ত প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছিল সেখানে ৩১টি অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা  হয়েছিল৷ আদালত কিন্তু তার থেকে বেছে ২০টি অভিযোগ আমলে এনেছেন৷ এর থেকে পরিস্কার, যে এই বিচারের উচ্চ মান রয়েছে৷

সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হওয়ার প্রতিক্রিয়া কেমন এই প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত গুপ্ত অলকের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট৷ বিচার বিলম্বিত হতে শুরু করায় মানুষের আস্থা আর বিশ্বাস হারাতে বসেছিল, তাই এই সিদ্ধান্ত আর তৎপরতা প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন তিনি৷ পাশপাশি, নাগরিক সমাজের নেতৃস্থানীয় কিছু ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও কথা বলেছে তাঁর কর্ম প্রতিষ্ঠান দেশ টিভি৷ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর প্রভৃতি বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট মানুষজন এবং প্রতিষ্ঠানের সকলেই সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন৷  প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবি, শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান জানিয়েছেন তাঁর খুশির কথা৷ সেইসঙ্গে বিচারকার্য যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেই সতর্কতার কথাও বলেছেন তিনি৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য