1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেট: আমরণ অনশনে আন্দোলনকারীরা, পর্ষদ আদালতে

১৯ অক্টোবর ২০২২

অনশনে বসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আন্দোলনকারীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আদালতের দ্বারস্থ।

https://p.dw.com/p/4INSg
টেট আন্দোলন
ছবি: Subrata Goswami/DW

কলকাতা ময়দানের পর এবার সল্টলেকের করুণাময়ী চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভস্থলে পরিণত হলো। গত দেড়দিন ধরে সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দপ্তরের সামনে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ২০১৪ সালে পাশ করা সত্ত্বেও তারা এখনো চাকরি পাননি। যদিও মঙ্গলবার পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের দাবি অন্যায্য। এনিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছে পর্ষদ। এদিকে, আন্দোলনকারীদের একজন মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তিনি ওআরএস খেতে অস্বীকার করেন। আমৃত্যু অনশনের কথা জানান।

গত প্রায় দুই বছর ধরে এসএসসি, টেট-সহ একাধিক বিষয়ের চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা ময়দানের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন চালাচ্ছেন। সম্প্রতি আদালতের হস্তক্ষেপে বিষয়টি ত্বরান্বিত হয়েছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী-সহ শিক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা ইডি এবং সিবিআই হেফাজতে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন আরো জোরদার হয়েছে। সোমবার সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দপ্তরের সামনে পৌঁছে যান আন্দোলনকারীরা।

তাদের দাবি, অবিলম্বে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দাবি, রাজনৈতিক ইন্ধনে ওই চাকরিপ্রার্থীরা একাজ করছেন। গত দুই বছর এই চাকরিপ্রার্থীরা ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলে তার দাবি। ফলে ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের আবার নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এর মধ্যে যাদের বয়স ৪০ পেরিয়ে যাবে, তারা পরবর্তী পরীক্ষায় বসতে পারবেন না বলেও তিনি জানিয়েছেন।

চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির কারণেই তাদের চাকরি হয়নি। ফলে নতুন পরীক্ষায় তারা বসবেন না। অবিলম্বে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের মঞ্চে বিজেপি এবং সিপিএম-এর প্রতিনিধিরা যান। বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ঘটনাস্থলে গিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য মামলা লড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য ও দীপ্সিতা ধরও ঘটনাস্থলে যান। রাজ্য সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি বর্তমান পর্ষদের কর্মকর্তাদের মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক আন্দোলনকারী। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি ওআরএস খেতেও অস্বীকার করেন। অনশনের কথা ঘোষণা করেন। আপাতত তিনি স্থিতিশীল। পুলিশ মঙ্গলবার সারাদিন এবং বুধবার মাইকিং করে আন্দোলনকারীদের উঠে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। হাসপাতালের সামনে তারা আন্দোলন করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা এখনো অনড়। এই পরিস্থিতিতেই বুধবার পর্ষদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)