1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিগ্রের লড়াইয়ে মৃত কয়েকশ

১ ডিসেম্বর ২০২০

মারা গেছেন কয়েকশ, হাজারো মানুষ পালিয়েছেন। তার মধ্যে টিগ্রে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বনাম টিপিএলএফের কথার লড়াই চলছে।

https://p.dw.com/p/3m34X
ছবি: Ethiopian News Agency/AP/picture alliance

টিগ্রে এখন সেনার দখলে। গত শনিবার টিগ্রের রাজধানী মেকেলেতে ঢোকে সেনাবাহিনী। সরকারের দাবি, টিপিএলএফের প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দিয়ে সেনা মেকেলে দখল করে নিয়েছে। টিগ্রের লড়াইয়ে ইতিমধ্যে কয়েকশ মানুষ মারা গিয়েছেন। অন্ততপক্ষে ৪৪ হাজার মানুষ জীবন বাঁচানোর জন্য সুদানে পালিয়ে গেছেন। এই উদ্বাস্তুদের কাছে খাবার পৌঁছতে ও মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংগঠন। ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবার হাল খুবই খারাপ। সরকার এখনো সাংবাদিক বা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের টিগ্রে যেতে দিচ্ছে না।

এই অবস্থায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদের কাছে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট(টিপিএলএফ) দাবি করেছে, অবিলম্বে মেকেলে থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। সংবাদসংস্থা এপি-কে ফোনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টিপিএলএফ নেতা ডেব্রিটসন জেব্রিমাইকেল। তাঁর দাবি, অবিলম্বে টিগ্রে থেকে সেনা সরাতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি মেকেলের কাছেই আছেন। ইথিওপিয়ার সেনা টিগ্রেতে গণহত্যা চালিয়েছে। তবে তাতেও লাভ হবে না। শেষ পর্যন্ত টিগ্রের মানুষের জয় হবে।

গত এক মাস ধরে টিগ্রে বিচ্ছিন্ন। ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা নেই বললেই চলে। ফলে সরকার বা টিপিএলএফ কারো দাবিই যাচাই করে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। উত্তর ইথিওপিয়ার এরিট্রিয়া ও সুদান ঘেঁযা এলাকায় এতদিন টিপিএলএফেরর শাসন চলত। এই এলাকায় সুদান ও এরিট্রিয়ার প্রভাবও ছিল খুব বেশি। দীর্ঘদিন ধরে দেশ শাসন করা ইথিওপিয়ান পিপলস রেভলিউশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইপিআরডিএফ)-এর উপরেও তাদের প্রভাব ছিল। এই ফ্রন্টের ২৭ বছরের রাজত্বে শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে ছিল। কৃষিতেও উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু একই জোটের দীর্ঘদিনের শাসন পছন্দ হচ্ছিল না ইথিওপিয়ার যুবকদের।

এই অবস্থায় রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন অ্যাবি আহমেদ। তারপর থেকে শুরু হয় টিপিএলেফকে কোণঠাসা করার কাজ। তারই জেরে টিপিএলএফের ঘাঁটি দখল করার লড়াই শুরু হয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের বাস টিগ্রেতে। সেনাবাহিনী সেই টিগ্রে টিপিএলএফের দখল থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে ডেব্রিটসন জানিয়েছেন, বহিরাগতদের না তাড়ানো পর্যন্ত লড়াই চলবে।

টিপিএলএফ নেতার দাবি, তাঁরা প্রচুর সেনাকে বন্দি করেছেন। আর সেনার হাতে অসংখ্য মানুষ মারা গেছেন। তবে তিনি কোনো সংখ্যা বলতে চাননি। শুধু বলেছেন, ''প্রচুর সাধারণ মানুষ মারা গেছেন। গুণে শেষ করা যাবে না।'' তাঁর দাবি, ''মেকেলে আমাদের। আমরা এর সম্পদ তৈরি করেছি। শহরকে সমৃদ্ধ করেছি। এখন তা বহিরাগতদের হাতে যেতে দেব না।''

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)