1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিকা নিলেন বাইডেন, যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে

২২ ডিসেম্বর ২০২০

অ্যামেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ মিলিয়ন। টেলিভিশনের সামনে টিকা নিলেন জো বাইডেন। যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে।

https://p.dw.com/p/3n1zf
জো বাইডেন করোনা টিকা
ছবি: Alex Edelman/AFP

করোনা ভ্যাকসিন নিলেন অ্যামেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার বাড়ির কাছেই একটি ক্লিনিকে টিকার প্রথম ডোজ নেন বাইডেন। পরবর্তী টিকা নেবেন কয়েক দিন পরে। গোটা প্রক্রিয়াটিই টেলিভিশনে লাইভ দেখানো হয়। বাইডেন টিকা নিয়ে বলেছেন, দেশের নাগরিক যাতে ভ্যাকসিন নিতে ভয় না পান, তার জন্য উদাহরণ তৈরি করলেন তিনি।

সোমবার অ্যামেরিকায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ মিলিয়নে পৌঁছেছে। তারই মধ্যে যুক্তরাজ্যে নতুন করোনার স্ট্রেইন আসার পরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরো বেড়েছে। অ্যামেরিকায় এমনিতেই করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের নতুন স্ট্রেইন আগের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতেই ভ্যাকসিন নেন বাইডেন। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য লাইভে টিকা নেবেন তিনি। মঙ্গলবার টিকা নেওয়ার সময় নার্স তাঁকে তিন গুণতে বলেছিলেন। বাইডেন নার্সকে বলেন, তিনি তৈরি। নার্স ইঞ্জেকশন দিতে পারেন।

ফাইজারের টিকা নিয়েছেন বাইডেন। জানিয়েছেন, সাধারণ মার্কিনিদের টিকা পেতে আরো একটু সময় লাগবে। গোটা দেশে বিতরণের প্রক্রিয়ায় একটু সময় লাগছে। তবে যে ভাবে টিকা সমস্ত রাজ্যকে দেওয়া হচ্ছে তার প্রশংসা করতে গিয়ে বর্তমান প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাইডেন। বস্তুত এই প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনকে কোনো কাজের জন্য ধন্যবাদ দিলেন তিনি। পাশাপাশি বাইডেন বলেছেন, টিকা না পাওয়া পর্যন্ত সকলে যেন মাস্ক ব্যবহার করেন। মাস্কের কোনো বিকল্প নেই।

পৃথিবীর বহু দেশে যুক্তরাজ্যে যাতায়াত বন্ধ করেছে। জার্মানি, ফ্রান্স, ভারত সহ ইউরোপের একাধিক দেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অ্যামেরিকা অবশ্য এখনো যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ করেনি। তবে কোনো কোনো মার্কিন বিমান সংস্থা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট দেখালে তবেই বিমানে চড়া যাবে।

যুক্তরাজ্য আবার ব্রাজিলের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বাতিল করেছে। ব্রাজিলে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, দেশের পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। ক্রিসমাসে সকলে যাতে বাড়িতে থাকেন, তার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করছে। মনে করা হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই করোনার নতুন ধরন যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)