1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিকটক ব্যবহারে এগিয়ে অতি-দক্ষিণপন্থি এএফডি

৫ জুন ২০২৪

জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস, তার ডেপুটি হাবেকের তুলনায় এএফডি নেতাদের ফলোয়ারের সংখ্যা বেশি।

https://p.dw.com/p/4geMN
হাতে ধরা ফোনের স্ক্রিনে এএফডির সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিসপ্লে করা রয়েছে।
যুব ভোটদাতার উপর এএফডির প্রভাব বেড়েছে। ছবি: Janine Schmitz/ picture alliance

মঙ্গলবার প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, জার্মানির পার্লামেন্টে যতগুলি দল আছে, তার মধ্যে টিকটক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অতি-দক্ষিণপন্থি অলটারনেটিভ ফর জার্মানি বা এএফডি সবচেয়ে এগিয়ে

অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এডুকেশনাল সেন্টার এই সমীক্ষাটি করেছে। সংস্থার ডিরেক্টর স্নাবেল জানিয়েছেন, ''টিকটকে খোলাখুলিভাবে অতি-দক্ষিণপন্থি প্রতীক ও কোড ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ধরনের বিষয় বারবার এএফডির নেতারাই দিচ্ছেন।''

এএফডি দলের নেতা অ্যালিস ভাইডেলটিকটকে প্রথম পাঁচ রাজনৈতিক ইনফ্লুয়েন্সারের মধ্যে আছেন। পূর্ব জার্মানির এএফডি নেতা উলরিখ সিগমুন্ড এক নম্বরে আছেন। তার ফলোয়ারের সংখ্যা চার লাখ।

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের ফলোয়ার সংখ্যা দুই লাখ ৬০ হাজার। তার ডেপুটি হাবেকের ফলোয়ার ৩০ হাজারের কম।

'সমান্তরাল বিশ্ব'

৬২ পাতার এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এএফডি রাজনীতিকরা এবং চরম দক্ষিণপন্থিরা এই সামাজিক মাধ্যমকে তাদের মতাদর্শ প্রচারের ক্ষেত্রে একটা সমান্তরাল বিশ্ব হিসাবে ব্যবহার করেছে।

সংস্থার ডিরেক্টর স্নাবেল জানিয়েছেন, ''টিকটকে এএফডি নিজেদের যুবদের মুখপাত্র হিসাবে নিজেদের তুলে ধরেছে। অন্য দলগুলির কাছে এর কোনো জবাব নেই।''

এএফডি নেতারা টিকটকে যা দেখান তা অনেক সময়ই স্বতঃস্ফূর্ত ও মজার হয়। গত এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৪ থেকে ২৯ বছর বয়সিদের পছন্দের দল হলো এএফডি।

অন্য দল টিকটকে দুর্বল

এসপিডি-র সেক্রেটারি জেনারেল কেভিন কুনার্টের টিকটকে ফলোয়ারের সংখ্যা ১১ হাজার। আর এএফডি-র পার্লামেন্ট সদস্য সেবাস্তিয়ান মুনসেনমাইয়ারের ফলোয়ারের সংখ্যা ৮০ হাজার।

প্রচুর রাজনীতিক ও সরকারে থাকা মানুষের টিকটক অ্যাকাউন্ট আছে। স্নাবেল জানিয়েছেন, তাদের যোগাযেগের কৌশল বদলাতে হবে।

তিনি বলেছেন, ''টিকটকে শিক্ষামূলক ও পরিস্থিতির ব্যাখ্যা সংক্রান্ত ভিডিও পোস্ট করা যথেষ্ট নয়। তরণ ও যুবদের চাহিদা মেটাতে হবে। স্কুলে মিডিয়া স্কিল ও রাজনৈতিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে।''

জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, কেএনএ, ইপিডি)