1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

ঝাপোরিজ্ঝিয়া নিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়ার তরজা

৬ জুলাই ২০২৩

বিতর্কের কেন্দ্রে ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র। কিয়েভ ও মস্কোর অভিযোগ, এই পরমাণু কেন্দ্র উড়িয়ে দেয়ার চক্রান্ত চলছে।

https://p.dw.com/p/4TTUx
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে আবার বিরোধের কেন্দ্রে ঝাপোরিজ্ঝিয়াপরমাণু কেন্দ্র।
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে আবার বিরোধের কেন্দ্রে ঝাপোরিজ্ঝিয়াপরমাণু কেন্দ্র। ছবি: Andrey Borodulin/AFP

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁকে ফোনে বলেছেন, রাশিয়া ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছে। ইউক্রেনের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওই পরমাণু কেন্দ্রের দুইটি পাওয়ার ইউনিটের ছাদে বিস্ফোরক রাখা হয়েছে।

জেলেনস্কি টুইট করে জানিয়েছেন, ''আমি মাক্রোঁকে সাবধান করে দিয়ে বলেছি, রাশিয়া ঝাপোরিজ্ঝিয়া নিয়ে ভয়ংকর উসকানি দিচ্ছে। আইএইএ-র সঙ্গে একজোট হয়ে পরিস্থিতি যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তার চেষ্টা করা হবে বলে আমরা একমত হয়েছি।''

রাশিয়ার অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির প্রধান পরামর্শদাতা রেনাত কারছা সরকারি টেলিভিশনে বলেছেন, ''কিয়েভ ঝাপোরিজ্ঝিয়াতে গোলা মারার পরিকল্পনা করেছে। সেই সঙ্গে তারা বোমাও ফেলতে পারে।''

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ''পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজক। কিয়েভ ঝাপোরিজ্ঝিয়াতে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করতে পারে। তার পরিণতি ভয়ংকর হবে।''

কোনো পক্ষই তাদের দাবির সমর্থনে কোনো তথ্যপ্রমাণ দেয়নি। এই পরমাণু কেন্দ্র রাশিয়ার সেনার অধিকারে আছে। এরপর একাধিকবার দুই পক্ষ অভিযোগ করেছে, ঝাপোরিজ্ঝিয়াকে লক্ষ্য করে গোলা ফেলছে অন্য পক্ষ।

আইএইএ-র বক্তব্য

জাতিসংঘের সংস্থা আইএইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, তাদের বিশেষজ্ঞরা ঝাপোরিজ্ঝিয়াতে কোনো বিস্ফোরক দেখতে পাননি। তবে তারা বলেছেন, আরো কিছু জায়গায় তাদের যেতে দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা এই পরমাণু কেন্দ্রের কিছু এলাকায় সম্প্রতি গেছেন এবং এখনো পর্যন্ত তাদের চোখে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েনি। তবে তাদের তিন ও চার নম্বর রিঅ্যাক্টরের ছাদ-সহ কিছু এলাকায় যেতে দেয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। কেন এই জায়গায় যাওয়া জরুরি, তা আইএএইএ জানায়নি।

ইউক্রেনের দাবি

ইউক্রেনের সেনা দাবি করেছে, তারা দনেৎস্কের মাকিভকাতে রাশিয়ার ইউনিট ধ্বংস করেছে। সেনা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করার ফলে মাকিভকায় আর রাশিয়ার সেনার কোনো অস্তিত্ব নেই। এই দাবির সমর্থনে ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)