1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ালেন শলৎস

১৮ অক্টোবর ২০২২

২০২২ সালের মধ্যে সব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারছে না জার্মানি৷ জ্বালানি সংকট নিরসনে তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন চ্যান্সেলর শলৎস৷

https://p.dw.com/p/4ILFE
Atomkraftwerk Isar 2
ছবি: Armin Weigel/dpa/picture alliance

সোমবার জোট সরকারে মতানৈক্য সত্ত্বেও তিনি জার্মানির অবশিষ্ট তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দেন৷ 

এ সময় অর্থনীতি, পরিবেশ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখতে আইন সংস্কারের অনুরোধও জানান জার্মান চ্যান্সেলর৷ এক বিবৃতিতে শলৎস বলেন, ‘‘আইন এমন করা হবে যাতে ইসরা-২, নেকারভেস্টহাইম-২ এবং এমসলান্ড পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ছাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারে৷''

আগে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জার্মানি৷ কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করায় জোট সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেয়৷

গত শুক্রবার মুক্তগণতন্ত্রী, অর্থাৎ এফডিপি ২০২৪ সাল পর্যন্ত সবগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র খোলা রেখে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল৷ তবে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আরেক শরিক সবুজ দল চেয়েছিল উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এমসলান্ড জেলার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আসছে ডিসেম্বরে বন্ধ করে বাকি দুটি ২০২৩-এর এপ্রিল পর্যন্ত চালু রাখতে৷ কিন্তু এফডিপির প্রস্তাব অনুযায়ী তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০২৪ সাল পর্যন্ত চালু না রেখে শলৎস সেগুলো ২০২২-এর এপ্রিল পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেন৷

জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর, অর্থনীতিমন্ত্রী ও গ্রিন পার্টির নেতা রবার্ট হাবেক জানান শলৎস মন্ত্রী পরিষদের একাংশের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে যে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি তা মেনে নিয়েছেন৷ অর্থমন্ত্রী এবং এফডিপি নেত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার অবশ্য শলৎসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷তবে গ্রিন পার্টির আরেক নেতা রিকার্ডা লাং তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রই এপ্রিল পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলেন, গ্রিড স্থিতিশীল রাখতে এমসলান্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দরকার পড়ে না, তাই ওটা এপ্রিল পর্যন্ত চালু রাখা মোটেই অপরিহার্য ছিল না৷ 

(এসিবি/ কেএম) (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)