1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির স্থল-সীমানায় পুলিশি নিয়ন্ত্রণ জোরদার

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোমবার থেকে জার্মানির সব স্থলসীমান্তে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে৷ ছয় মাসের জন্য এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সে দেশ বেআইনি অনুপ্রবেশ কমাতে চায়৷ জার্মান চ্যান্সেলর উজবেকিস্তানের সঙ্গেও এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন৷

https://p.dw.com/p/4kf1O
বেলজিয়াম-জার্মানি সীমান্তে গাড়ি থামাচ্ছেন এক সীমান্ত পুলিশ
সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের ফলে ইউরোপের দেশগুলোর মুক্ত চলাচল ব্যবস্থা শেঙ্গেন হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা অনেকেরছবি: Christoph Hardt/Panama Pictures/IMAGO

বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে সোমবার থেকেই জার্মানি সব স্থলসীমান্তে নিয়ন্ত্রণ শুরু করলো৷ এর আওতায় লুক্সেমবুর্গ, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক সীমান্তে জার্মান পুলিশ নজরদারি শুরু করছে৷ এর আগেই পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্স সীমান্তে এমন কড়াকড়ি শুরু হয়েছিল৷ ২০১৫ সাল থেকেই অস্ট্রিয়ার স্থলসীমান্তে এমন ব্যবস্থা চালু আছে৷ বিতর্কিত এই সিদ্ধান্তের ফলে মুক্ত সীমানার শেঙ্গেন চুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে বলে সমালোচকরা মনে করছেন৷ তবে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, নতুন এই পদক্ষেপ সত্ত্বেও যে সব মানুষ নিত্যযাত্রী হিসেবে সীমান্ত পারাপার করেন, তাঁদের যানজটের সমস্যায় পড়তে হবে না৷

আপাতত ছয় মাসের জন্য জার্মানি এই পদক্ষেপ চালু রাখবে৷ এক সপ্তাহ আগে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপীয় কমিশনের কাছে নিয়ন্ত্রণের এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন৷ এভাবে রাজনৈতিক আশ্রয়ের অযোগ্য ও প্রবেশের ছাড়পত্রহীন আবেদনকারীদের সীমান্ত থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জার্মান সরকার আশা করছে৷ সরকারের মতে, তারা একবার জার্মানিতে প্রবেশ করলে বাস্তবে তাদের প্রত্যর্পণ অনেক জটিল ও কঠিন হয়ে ওঠে৷ ২০২৩ সাল থেকে জার্মানি প্রায় ৩০,০০০ মানুষকে সেই কারণ দেখিয়ে সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে৷

প্রতিবেশী দেশগুলি জার্মানির এমন সিদ্ধান্তের ফলে মোটেই খুশি নয়৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যায়ে জার্মানির উপর এ কারণে আরো চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু জার্মানির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এই মুহূর্তে অভিবাসনের বিষয়টিকে ঘিরে চরম বিতর্কের জের ধরে জোট সরকার এমন কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভিবাসন ও অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণে আরো পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে৷ শলৎস উজবেকিস্তান সফরে গিয়ে সে দেশের সঙ্গে এক বহুমুখী চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন৷ এর আওতায় একদিকে সে দেশ থেকে আইনি পথে দক্ষ কর্মীদের জার্মানিতে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে৷ অন্যদিকে জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনে ব্যর্থ কিছু বিদেশিকে সে দেশে পাঠানো সম্ভব হবে৷ উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভের সঙ্গে শলৎস এমন বোঝাপড়ায় এসেছেন৷

সেই চুক্তির আওতায় জার্মানি থেকে আফগান নাগরিকদের উজবেকিস্তানে পাঠানো হবে কিনা, জার্মান চ্যান্সেলর সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি৷ তালেবান সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় জার্মানি গত ৩০শে আগস্ট কাতারের সহায়তায় কিছু আফগান অপরাধীদের সে দেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল৷ উজবেকিস্তানে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফেসার বলেন, তিনি এমন আরো আফগান নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)