1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার চুল কাটাতে পারছেন জার্মানরা

৪ মে ২০২০

সোমবার থেকে জার্মানিসহ ইউরোপের কিছু দেশের মানুষ সীমিত হলেও কিছু ‘স্বাধীনতা’ ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন৷ করোনা সংকট থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে এই সব পদক্ষেপের পরিণাম নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3bjSt
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Regovic

মানুষের উপর এমন পরীক্ষা সম্ভবত এর আগে হয় নি৷ করোনা সংকটের জের ধরে লকডাউন বা অন্যান্য কড়াকড়ির মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ সোমবার থেকে ইউরোপের একাধিক দেশে আরও কিছু বিধিনিয়ম শিথিল করা হচ্ছে৷ কিন্তু অন্যদিকে আরও বেশি মানুষ প্রকাশ্যে এলে সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে পড়তে পারে, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ সঙ্গত কারণেই এমন ‘সাহসি’ পদক্ষেপের ফলাফল জানতে কমপক্ষে দশ দিন সময় লেগে যাবে৷ প্রশ্ন হলো, আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক হারে বেড়ে গেলে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষে পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব হবে কি?

সোমবার থেকে জার্মানিতে কিছু ক্ষেত্রে পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে৷ কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সে দেশের মানুষ আবার চুল কাটার সেলুনে যেতে পারছেন৷ আরও শিক্ষার্থী স্কুলে ফিরছে৷ রাজ্য অনুযায়ী আরও কিছু ‘স্বাধীনতা’ উপভোগ করতে পারছেন মানুষ৷ করোনা সংক্রমণের হার অপেক্ষাকৃত কম থাকার ফলে পূবের স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্য প্রকাশ্যে পাঁচ জন পর্যন্ত মানুষের সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে৷

তবে ইউরোপের যে দেশের উপর সবার নজর, সেই ইটালির মানুষও প্রায় নয় সপ্তাহ ধরে কার্যত গৃহবন্দি থাকার পর সোমবার থেকে আবার প্রকাশ্যে বেরিয়ে কিছু কাজ করতে পারছেন৷ নির্মাণ ও উৎপাদনের কাজ ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে৷ প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজে ফিরছেন৷ বার ও রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করতে না পারলেও সেখান থেকে খাবার কেনার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ আইসক্রিমের দোকান অবশ্য এখনই খোলা যাবে না৷ খোলা আকাশের নীচে বের হবার ও আত্নীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন মানুষ, যদিও কারা এই নিয়মের আওতায় পড়েন, তা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে৷ কম মানুষের সমাগম হলে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও আবার সম্ভব হচ্ছে৷ গণপরিবহণ ব্যবস্থা আবার চালু বলেও মানুষের ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷ ফেডারেল কাঠামোর কারণে ইটালির বিভিন্ন অঞ্চলে আলাদা কিছু নিয়ম চালু করা হচ্ছে৷

অস্ট্রিয়ায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও অন্যান্য স্কুলের চূড়ান্ত বছরের প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী সোমবার থেকে স্কুলে ফিরছে৷ তাদের অবশ্য সামাজিক ব্যবধানের নিয়ম ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে৷ সে দেশে বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের আত্মীয়স্বজনও আবার দেখা করতে আসতে পারবেন৷ অবশ্যই কড়া নিয়ম মেনে সেই কাজ করতে হবে৷

বেলজিয়ামে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর হার মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল৷ সে দেশে এখনো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাসা থেকেই দপ্তরের কাজ চালিয়ে যাওয়া হলেও সোমবার থেকে কিছু কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু হচ্ছে৷ গণপরিবহণ ব্যবস্থাও কিছুটা স্বাভাবিক করা হচ্ছে৷ সীমিত আকারে খেলাধুলার অনুমতিও দিচ্ছে সরকার৷

ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, লিথুয়েনিয়া, লুক্সেমবুর্গ ও পোল্যান্ডের মতো দেশও সোমবার থেকে কিছু বিধিনিয়ম শিথিল করছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)