1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির বাজেট সংকট: সরকারের জন্য নতুন হুমকি

২২ নভেম্বর ২০২৩

বাজেট নিয়ে বড় ধরনের জটিলতায় পড়েছে জার্মানির সরকার৷ মহামারির তহবিলের অর্থ জলবায়ু খাতে ব্যয় করাকে আদালত অবৈধ ঘোষণার পর এবার চলতি বছরের বাকি সময়ের বাজেট ব্যয় স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলো অর্থ মন্ত্রণালয়৷

https://p.dw.com/p/4ZIhn
চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার ও ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেক
কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট নিয়ে জোটের তিন দলের মধ্যে রয়েছে মতবিরোধছবি: Ben Kriemann/Pic One/picture alliance

জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার সোমবার সন্ধ্যায় সরকারের নতুন নীতি ঘোষণা করেন৷ সে অনুযায়ী, ২০২৩ সালের বাকি সময়ে সরকারের প্রায় পুরো বাজেট ব্যয় স্থগিত করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি৷ প্রকৃতপক্ষে জার্মানির সর্বোচ্চ আদালতের নাটকীয় এক রায়ের প্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নিতে হলো সরকারকে৷ 

সংকটের শুরু যেখান থেকে

জার্মানির জোট সরকার কোভিড মোকাবিলায় বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছিল৷ সেখান থেকে খরচ না হওয়া ৬০ বিলিয়ন ইউরো তারাজলবায়ু খাতে ব্যয় করতে চেয়েছিল৷ বিশেষ করে বিদ্যুৎচালিত পরিবহণ ও ভবনগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী করতে এই অর্থ ব্যয়ের কথা ছিল৷ কিন্তু আদালত এই সিদ্ধান্ত আটকে দিয়েছে৷ তাই এই ধরনের তহবিলের ক্ষেত্রে ঋণের সাধারণ নিয়মই কার্যকর হবে৷ ১৫ নভেম্বরের দেয়া রায়ে আদালত বলেছে, কোনো একটি বছরের জন্য বরাদ্দ অর্থ সরকার পরবর্তী বছরে অন্য খাতে ব্যয় করতে পারে না৷ আদালতের এই রায় চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও তার সরকারের জন্য বড় আঘাত বলে বিবেচনা করা হচ্ছে৷

জার্মানি থেকে মানুষদের ফেরত পাঠানো সহজ করবে যে আইন

২০০৮-০৯ সালে ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার পর জার্মানির তৎকালীন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সতর্কতা হিসেবে ঋণ সীমার নিয়ম চালু করেন৷ সে অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট ঘাটতি বা নতুন ঋণের পরিমাণ জিডিপির দশমিক তিন-পাঁচ শতাংশের বেশি হতে পারবে না৷ কিন্তু কোভিড মহামারির সময় সংকটকালীন পরিস্থিতি দেখিয়ে এই নিয়মের ব্যতিক্রম করা হয়েছিল৷ জলবায়ু পরিবর্তনকে অনেকে সংকট হিসেবে বিবেচনা করলেও সরকারিভাবে তা ঘোষিত নয়৷

জোটে দ্বন্দ্ব

এই রায়ের ফলে রাজনৈতিকভাবেও সংকটে পড়েছে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এসপিডির নেতৃত্বাধীন জোট৷ তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সিডিইউ এর আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এই রায় দিয়েছে৷ নির্বাচনের দুই বছর আগে জোট সরকারের জন্য এটি বড় রাজনৈতিক পরাজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে৷

কীভাবে সরকার আগামী বছরের ব্যয় সামাল দিবে তা নিয়ে জোটের সদস্যদের মধ্যেও রয়েছে মতবিরোধ৷ এসপিডি চায় কর বাড়াতে৷ পাশাপাশি ২০২৪ সালকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ঋণসীমা বাড়ানোরও মত দিচ্ছেন দলটির কোনো কোনো নেতা৷

অন্যদিকে শরিক দল এফডিপি কর বৃদ্ধির বিপক্ষে৷ তারা বরং সরকারের বিভিন্ন খাতে বাজেট কমানোর পক্ষে৷ আর জোটের তৃতীয় সঙ্গী গ্রিন পার্টি সামাজিক ও জলবায়ু খাতের ব্যয় কমানোর ঘোরতর বিরোধী৷ তবে শেষ পর্যন্ত এফডিপি ও বিরোধী দল সিডিইউ-এর চাপে কর না বাড়িয়ে ব্যয় কমানোর দিকেই সরকারকে হাঁটতে হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা৷ গ্রিন পার্টির মন্ত্রীদেরকে সেক্ষেত্রে দলটির নেতা-কর্মীদের জবাবদিহিতার মধ্যে পড়তে হবে, যা সরকারের জোটেও চিড় ধরাতে পারে৷

সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে জোটের সদস্যদের এই স্পষ্ট মতবিরোধ সত্ত্বেও তা থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে বলে পার্লামেন্টে আশা প্রকাশ করেছেন চ্যান্সেলর শলৎস৷ এমন বাস্তবতায় জনগণের কাছে সরকারের অনুমোদনের রেটিং তলানীতে এসে ঠেকেছে - নতুন নির্বাচনের ক্ষেত্রে যা জোটের তিন সদস্যের জন্য চিন্তার বিষয়৷

ইয়েন্স থুরাউ/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান