জার্মান প্রেসিডেন্ট
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২বেশ কিছুদিন ধরে নানা অভিযোগের তীর ছুটে যাচ্ছিলো জার্মান প্রেসিডেন্টের প্রতি৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনীতিক হওয়ার সুযোগে বিত্তশালী বন্ধুদের কাছ থেকে নানা ধরণের আর্থিক সুযোগ সুবিধা গ্রহণের৷ তার জের ধরে শুক্রবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ তবে পদত্যাগ করলেও শেষ পর্যন্ত ভুল্ফের দাবি ছিল, ভুল করেছি, কিন্তু কোন অন্যায় করিনি৷ জার্মান প্রেসিডেন্টের পদটিকে বিতর্কের হাত থেকে মুক্ত রাখতেই তিনি সরে দাঁড়ালেন, বলে দাবি ভুল্ফের৷ জার্মানির জনগণও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে৷ প্রেসিডেন্ট পদটিকে নিয়ে এত বিতর্ক অনেকেরই পছন্দ হচ্ছিলো না৷
এদিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে৷ সেজন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এমন একজনকে তারা চান যাকে সব দলই মেনে নেবে৷ তাই শনিবার তিনি বৈঠক করেছেন জোটসঙ্গী মুক্ত গণতন্ত্রী দল এফডিপি এবং খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন সিএসইউ-র সঙ্গে৷ বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ম্যার্কেল বিরোধী দল সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি এবং সবুজ দলের সঙ্গেও কথা বলবেন৷
এদিকে, এসপিডি তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম জানিয়েছে৷ দলের প্রধান জিগমার গাব্রিয়েল ডয়েচল্যান্ডফুংক-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তারা চান নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইওয়াখিম গাউককে৷ সাবেক পূর্ব জার্মানির কমিউনিস্ট বিরোধী হিসেবে পরিচিত গাউক৷ গাব্রিয়েল দাবি জানিয়েছেন সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করার জন্য৷
অন্যদিকে ম্যার্কেলের তালিকায় বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থমাস ডি মাইৎসিয়েরে, পরিবেশ মন্ত্রী ক্লাউস ট্যোপ্ফার এবং শ্রম মন্ত্রী উরজুলা ফন ডের লেয়েন রয়েছেন বলে জানা গেছে৷ এছাড়া বর্তমান সাংবিধানিক আদালতের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রিয়াস ফোসকুলের নামও শোনা যাচ্ছিলো৷ তবে তিনি পরে সেটা অস্বীকার করেন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই