জার্মানির কিছু ট্রাফিক সাইনের নমুনা
জার্মানিতে রাস্তা, রেলওয়ে স্টেশন, এমনকি বাড়িতে যন্ত্রাবলী ব্যবহারের নিয়মও কিছু স্পষ্ট আর কিছু অস্পষ্ট৷ এখানে তারই কিছু নমুনা দেওয়া হলো৷
হ্যাটটি তুলে নিন, প্লিজ
১৯৬৮ সালে ভিয়েনা কনভেনশনের নিয়ম অনুযায়ী জার্মানিসহ ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ একই ধরণের ট্রাফিক সাইন মেনে চলে৷ এরপরও জার্মানির কিছু সাইন এখনও অনেকটাই অস্পষ্ট৷ আচ্ছা, ওপরের সাইনটি কি এক পায়ে দাঁড়িয়ে হ্যাটটি তুলে নিতে বলছে? ঠিক হলো না কিন্তু! আসলে, কেউ যাতে পা পিছলে না পড়ে যায় সেজন্য সাবধান করে দেওয়া হচ্ছে সাইনটিতে৷
অনুমতি আছে, না কি নেই?
কোনো সাইনের চারিদিকে লাল রং দেওয়া মানে অনুমতি নেই আর তা জার্মানিসহ সব দেশেই৷ তবে এই সাইনটিতে ঘোড়া, গাড়ি এবং মোটর সাইকেল চালকদের বলা হচ্ছে যে, রাস্তা এখানেই শেষ৷ অর্থাৎ আর যাওয়া যাবে না৷ অবশ্য আরো ভালো করে বোঝাতে চাইলে অনেক সময় মাঝখানে বাড়তি লাল দাগও দেওয়া হয়৷
প্রতিবেশীদের স্বাগতম
যাঁরা এই সাইন চেনেন না তাঁদের কাছে মনে হতে পারে, এখানে গাড়ি পার্কিং এবং বাচ্চাদের ফুটবল খেলার জন্য অনেক জায়গা রয়েছে৷ ১৯৮০ সালে এই সাইন প্রথম শুরু হয়৷ এই সাইনে বলা হচ্ছে: সাবধান! আস্তে গাড়ি চালান, রাস্তায় বাচ্চারা খেলছে৷ জার্মানির আবাসিক এলাকার এই রাস্তাগুলোকে ‘স্পিল স্ট্রাসে’ বা খেলার রাস্তাও বলা হয়ে থাকে৷
এখানে নাচতে পারেন!
আচ্ছা, এই সাইনটি দেখে মনে হচ্ছে না যে, এখানে নাচার অনুমতি রয়েছে বা চাইলেই নাচতে পারেন! না, এবারও হলো না৷ এই চিহ্নটা কিন্তু একেবারে উল্টো৷ আসলে এখানে সাবধান করা হচ্ছে, চলন্ত ট্রেন আসার সময় কেউ যেন দরজার একবারে কাছাকাছি না যায়৷
প্রবেশ নিষেধ
এই সাইনটির অর্থ ‘এখানে প্রবেশ নিষেধ’৷ বলা বাহুল্য, জার্মানিতে এই ধরণের সাইনবোর্ডের অভাব নেই৷
তিন বন্ধু
তিন বাঁহাতি বন্ধু অর্ডার দেবে বলে একটি ‘পাবে’ ওয়েটারের জন্য অপেক্ষা করছে৷ ছবি দেখে কি এটাই মনে হচ্ছে না? আসলে কিন্তু তা নয়! সাইনটি হচ্ছে জার্মানির মিউনিখ শহরের একটি পাতাল রেলের এস্কেলেটারের ‘‘ইমারজেন্সি ব্রেক’’-এর জন্য৷
একেবারে স্পষ্ট সাইন
তবে কিছু সাইন দেখে একেবারে স্পষ্টই বোঝা যায় যে কি বলা হচ্ছে৷ যেমন এই সাইনটি৷ এতে করে সরাসরি বলা হচ্ছে, ‘‘এখানে কুকুরের টয়েলেট করা নিষিদ্ধ৷’’