1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জার্মানির হানাও হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে এবার পাল্টা হামলার আশংকা করছে পুলিশ৷ দেশটির মসজিদগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3YBcb
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Probst

জার্মানিতে উগ্র-ডানপন্থি বন্দুকধারীর হামলার পর এবার প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ যা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা৷ জার্মান গণমাধ্যম ফুঙ্কা মিডিয়া গ্রুপের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে৷

তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে তারা বলছে, উগ্র বামপন্থিরা পরবর্তী হামলাটি ঘটাতে পারে৷ এমনকি উগ্র ডানপন্থি দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) সদস্যদের উপর সহিংসতা হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে৷

তবে, জার্মানির তৃতীয় বৃহৎ গণমাধ্যমটিকে তাদের সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে প্রতিশোধমূলক হামলার নির্দিষ্ট কোন হুমকি নেই৷ তবে এই আশঙ্কাও তারা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না

সরকারি তদন্তকারীদের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মসজিদগুলো পরবর্তী উগ্র ডানপন্থি হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে৷ আর তা ঠেকাতে মসজিদগুলোর সামনে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হবে বলে শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্স্ট সেহোফার৷  

এদিকে ব্যক্তিগত বন্দুকের মালিক এবং আবেদনকারীদের মানসিক পরীক্ষার দাবি তুলেছে দুইটি দল৷ সামাজিক গণতন্ত্রী দলের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হেলগা লিন্ড বলেছেন, ‘‘আমাদের অস্ত্র আইন সংস্কার করা প্রয়োজন কীনা হানাও এর সহিংসতার পর সেটি জোর দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে৷’’

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডি ভেল্টকে তিনি বলেন, ‘‘যদি কর্তৃপক্ষ অস্ত্রের মালিকদের মানসিক ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি যথাযথভাবে পরীক্ষা করতে না পারে তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই সে অনুযায়ী আইন সংশোধন করতে হবে৷’’

আর সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কেউ অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে হলে তাকে মানসিক পরীক্ষা দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ একই কথা বলেছেন গ্রিন পার্লামেন্টারি গ্রুপের অভ্যন্তরীণ নীতি বিষয়ক মুখপাত্র ইরিনে মিহালিচ৷ তিনি জানান, শারীরিক, মানসিক প্রবণতা বিবেচনা করে যোগ্যদেরই অস্ত্রের অনুমতি দেয়া হবে এমন লক্ষ্য তাদের৷

বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে ভাবতে শুরু করেছে সরকার৷ জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্স্ট সেহোফার বলেছেন তিনিও অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য বাড়তি মানসিক পরীক্ষার নিয়মের পক্ষে৷ যাতে করে এটি নিশ্চিত করা যায়ে যে অস্ত্রধারী সাধারণ মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না৷

উল্লেখ্য, বুধবার ৪৩ বছর বয়সি এক জার্মান নাগরিক হানাওয়ের দুইটি শিশাবারে হামলা চালিয়ে আট বিদেশি বংশদ্ভূতকে হত্যা করেন৷ পরবর্তীতে হামলাকারী এবং তার মায়ের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ৷

এফএস/এআই (এএফপি)