1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ধর্ষণ, হত্যার অভিযোগ স্বীকার মার্কিন নাগরিকের

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের ৩১ বছর বয়সি এক ব্যক্তি জার্মানিতে মার্কিন দুই নারীর উপর হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন৷

https://p.dw.com/p/4cbxu
বিচারের মুখোমুুখি হওয়ার সময় বই দিয়ে মুখ ঢেকে রাখেন ৩১ বছর বয়সি মার্কিন এক নাগরিক
যুক্তরাষ্ট্রের ৩১ বছর বয়সি এক ব্যক্তি জার্মানিতে মার্কিন দুই নারীর উপর হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেনছবি: Karl-Josef Hildenbrand/dpa/picture alliance

হামলায় একজন নিহত হন৷ জার্মানির অন্যতম পর্যটন গন্তব্য বাভারিয়া রাজ্যের নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গের কাছে গতবছরের ১৪ জুন এই ঘটনা ঘটেছিল

জার্মানির কেম্পটেন শহরের আদালতে সোমবার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ প্রথমেই অপরাধ স্বীকার করে নেন ঐ ব্যক্তি৷ তার আইনজীবী বলেন, নিজের অপকর্মের জন্য তার মক্কেল ‘খুবই লজ্জিত' এবং তিনি নিহতের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷

মার্চের মাঝামাঝি রায় দেওয়া হতে পারে৷

যা ঘটেছিল

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর মার্কিন ঐ দুই তরুণী নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গের কাছে হাইকিংয়ে বের হয়েছিলেন৷ তাদের একজনের বয়স ২১, অন্যজনের ২২৷ পথিমধ্যে ৩১ বছর বয়সি মার্কিন ঐ নাগরিকের সঙ্গে তাদের দেখা হয়৷ তখন মার্কিন ঐ ব্যক্তি তাদের দুজনকে পাশেই একটি সুন্দর দেখার জায়গা আছে বলে সেখানে নিয়ে যান৷ এরপর ২১ বছর বয়সি মেয়েটিকে মাটিতে ফেলে তার পোশাক খোলার চেষ্টা করেন৷ তাকে বাধা দিতে গেলে ২২ বছর বয়সি মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ৫০ মিটার গভীর খাদে ফেলে দেন মার্কিন ঐ নাগরিক৷ এরপর ২১ বছর বয়সি মেয়েটি অবচেতন না হওয়া পর্যন্ত তার গলা চেপে ধরা হয় এবং পরে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছেন৷ ধর্ষণ করার পর এই মেয়েটিকেও খাদে ফেলে দেয়া হয়৷

এরপর ২২ বছর বয়সি মেয়েটি আহত অবস্থায় উপরে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ আর ২১ বছর বয়সি মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ সেখানেই তিনি মারা যান৷

মার্কিন ঐ নাগরিকের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণের কারণে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, শরীরে মারাত্মক আঘাত ও নিজের কাছে শিশু পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন ফাইল রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে৷

সম্পাদকের নোট: ডিডাব্লিউ জার্মান প্রেস কোড অনুসরণ করে৷ এই কোড সন্দেহভাজন অপরাধী বা ভুক্তভোগীদের গোপনীয়তা রক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দেয় এবং তাদের পুরো নাম প্রকাশ করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে বাধ্য করে৷

জেডএইচ/কেএম (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)