1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে আবেদন নাকচ হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ

১৯ জানুয়ারি ২০২৪

আবেদন নাকচ হলে আশ্রয়প্রার্থীদের আরো দ্রুত ফেরত পাঠাতে জার্মান সরকার সংসদে নতুন পদক্ষেপ অনুমোদন করিয়েছে৷ এর ফলে চরম দক্ষিণপন্থি শক্তির রমরমা কমানো যাবে কিনা, সে বিষয়ে বিতর্ক চলছে৷

https://p.dw.com/p/4bRfn
বুন্ডেসটাগে বক্তব্য রাখছেন ন্যান্সি ফেসার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার বলেন, যে সব মানুষের জার্মানিতে থাকার আইনি অধিকার নেই, তাদের আরো দ্রুত দেশ ছাড়তে হবেছবি: Jens Krick/Flashpic/picture alliance

শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলায় জার্মানি তথা ইউরোপের রাজনীতি জগত উত্তাল৷ একাধিক দেশে চরম দক্ষিণপন্থি শক্তি এ বিষয়ে মানুষের ভয়ভীতির ফায়দা তুলে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্তরে এই সংকট সামাল দেওয়া পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না৷ ফলে জাতীয় স্তরে মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলি বাধ্য হয়ে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ ফ্রান্সের পর জার্মানিও এবার সেই পথে অগ্রসর হচ্ছে৷

বৃহস্পতিবার জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী সংক্রান্ত নতুন কিছু কড়া নিয়ম অনুমোদন করেছে৷ এর আওতায় কোনো ব্যক্তির আশ্রয়ের আবেদন নাকচ করা হলে তাকে দ্রুত ও আরো সহজে প্রত্যর্পণ করা কর্তৃপক্ষের জন্য সহজ হবে৷ বিশেষ করে অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ আরো তরান্বিত করা হবে৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার বলেন, যে সব মানুষের জার্মানিতে থাকার আইনি অধিকার নেই, তাদের আরো দ্রুত দেশ ছাড়তে হবে৷ তাঁর মতে, ‘অবৈধ বহিরাগতদের’ নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাতে পারলে যে সম্পদ সাশ্রয় হবে, আশ্রয়ের সত্যি প্রয়োজন আছে, এমন মানুষের জন্য তা কাজে লাগানো হবে৷ নতুন এই সব পদক্ষেপ অনুমোদনের মাধ্যমে পুলিশের হাতে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে৷ ফলে যাদের জার্মানি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের সন্ধান করা ও তাদের পরিচয় নির্ণয় করা আগের তুলনায় সহজ হবে৷ তাছাড়া বহিষ্কারের নির্দেশের পর কর্তৃপক্ষ বহিরাগতদের দশ দিনের বদলে ২৮ দিন পর্যন্ত আটক রাখতে পারবে৷ ফলে তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার জন্য আরো সময় পাওয়া যাবে৷ নতুন পদক্ষেপগুলির ফলে বছরে বাড়তি প্রায় ৬০০ মানুষকে ফেরত পাঠানো যাবে বলে সরকার অনুমান করছে৷ গত বছরে নেওয়া পদক্ষেপের ফলে সেই হার ইতোমধ্যেই ২৭ শতাংশ বেড়ে গেছে৷

জার্মান সরকারের এসব পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে পারবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ জনমত সমীক্ষায় চরম দক্ষিণপন্থি দল এএফডি এখনো দ্বিতীয় জনপ্রিয় শক্তি হিসেবে নিজস্ব অবস্থান ধরে রেখেছে৷ এমনকি সাম্প্রতিক এক কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও তাদের প্রতি সমর্থন কমছে না৷ বিভিন্ন মহল থেকে বুন্ডেসটাগের সিদ্ধান্তের সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ বামপন্থি দল ‘ডি লিংকে' সরকারের বিরুদ্ধে সামান্য কিছু মানুষের বিরুদ্ধে এমন কড়া পদক্ষেপকে চরম দক্ষিণপন্থি শক্তির মনোভাবের সঙ্গে তুলনা করেছে৷ একাধিক মানবাধিকার গোষ্ঠী এমন পদক্ষেপকে অমানবিক ও অত্যধিক হিসেবে বর্ণনা করেছে৷ জার্মান আইনজীবী সমিতিও সরকারের সমালোচনা করেছে৷ সমুদ্রপথে আশা আশ্রয়প্রার্থীদের উদ্ধারে নিয়োজিত গোষ্ঠী ‘এসওএস হিউম্যানিটি' এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেউ পালিয়ে আসা মানুষকে মানবিক সাহায্য দিলেও এবার কারাদণ্ডের হুমকির মুখে পড়তে হবে৷ উল্লেখ্য, নতুন আইনে আদম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের আওতায় সাহায্যকারীরাও কড়া পদক্ষেপের মুখে পড়তে পারে৷ কারণ অর্থের বিনিময়ে বা নিঃস্বার্থভাবে বহিরাগতদের সাহায্যের ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য করা হচ্ছে না৷ জার্মানির জোট সরকার অবশ্য দাবি করছে, যে এনজিও-গুলির শাস্তির ভয় পেতে হবে না৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান