এক সিরিয়াল কিলারের দণ্ড
৬ জুন ২০১৯সাবেক নার্স হ্যোগেল ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের জুন পর্যন্ত জার্মানির অল্ডেনবুর্গ ও ডেলমেনহোর্স্ট শহরের দুটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন৷
কৌঁসুলিরা বলছেন, ঊর্ধ্বতনদের কাছে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে কিংবা একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে হ্যোগেল রোগীদের শরীরে ওষুধ দিতেন৷ এক্ষেত্রে তিনি এলোমেলোভাবে রোগী বাছাই করতেন এবং তারপর তাঁদের শরীরে এমন ওষুধ দিতেন, যার প্রভাবে সেই রোগী হার্ট অ্যাটাকসহ অন্যান্য জটিলতায় ভোগা শুরু করতেন৷ এরপর হ্যোগেল ঐ রোগীদের সারিয়ে তুলে সহকর্মী কিংবা ঊর্ধ্বতনদের সামনে নিজের দক্ষতা দেখাতে চাইতেন৷
২০০৫ সালে ডেলমেনহোর্স্ট শহরের হাসপাতালে এক রোগীর সঙ্গে এমন কাজ করার সময় অপর এক নার্সের কাছে ধরা পড়েন হ্যোগেল৷ এরপর তদন্তকারীরা সন্দেহজনক প্রায় ২০০টি মামলার তদন্ত করেছেন৷ তদন্তের প্রয়োজনে ১৩০টি লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে৷
২০১৫ সালে দুজন রোগীকে হত্যার দায়ে হ্যোগেলকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়৷
তবে পরবর্তীতে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, হ্যোগেলের অপরাধের শিকার মাত্র দুজন নন, আরো অনেক বেশি৷
গত অক্টোবরে হ্যোগেল আদালতে আরও রোগী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন৷
বৃহস্পতিবার হ্যোগেলের বিরুদ্ধে আজীবন কারাদণ্ডের রায় হয়েছে৷ এক্ষেত্রে শাস্তির সর্বোচ্চ মাত্রা বেছে নিয়েছেন আদালত৷ ফলে ১৫ বছর কারাভাগের পর শাস্তি কমানোর আবেদনের যে সুযোগ পেয়ে থাকেন আসামিরা, হ্যোগেলের ক্ষেত্রে সেটি প্রযোজ্য হবে না৷
এদিকে, আদালতে যুক্তিতর্ক চলার সময় বুধবার হ্যোগেল তাঁর হাতে প্রাণ যাওয়া রোগীদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন৷
উল্লেখ্য, যুদ্ধপরবর্তী জার্মানির ইতিহাসে অন্যতম ভয়ংকর খুনি পুরুষ নার্স হিসাবে বিবেচিত হচ্ছেন হ্যোগেল৷
জেডএইচ/কেএম (এপি, এএফপি, ডিপিএ)