1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে ইতিবাচক ধারণা পেয়েছেন

৩০ নভেম্বর ২০১১

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ত্যাগ করেছেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি ইতিবাচক ধারণা পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ তিনি মনে করেন, বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিতে হবে৷

https://p.dw.com/p/13JV1
German President Christian Wulff is in Dhaka. Autor: Focus Bangla, 28.11.2011
জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানছবি: Focus Bangla

আজ দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান৷ এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপু মনি, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরি, খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস, তিনবাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা৷ ছিলেন ঢাকায় জার্মানির রাষ্ট্রদূত হলগার মিশায়েলসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা৷

গত সোবার জার্মান প্রেসিডেন্ট তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসেন ৷ সফরের শেষ দিনে আজ সকালে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌভ্রমণ করেন তিনি৷ উপভোগ করেন নদীমাতৃক বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য৷

German President Christian Wulff is in Dhaka. Autor: Focus Bangla, 28.11.2011
জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ এর সম্মানে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজছবি: Focus Bangla

তিন দিনের এই সফরে তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ মত বিনিময় করেছেন ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে৷ বক্তৃতা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এক অনুষ্ঠানে৷ তিনি কথা বলেছেন বাংলাদেশর উন্নয়ন, গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, ধর্মীয় সাম্য, জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরির্তন এবং ক্ষুদ্র ঋণসহ নানা বিষয় নিয়ে৷

প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ সুশীল সমাজের যাদের সঙ্গ কথা বলেছেন তাদেরই একজন মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল৷ তিনি জানান, বাংলাদেশ সম্পর্কে জার্মান প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত ইতিবাচক ধারণা নিয়ে গেছেন৷ প্রেসিডেন্ট ভুল্ফ সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ সমাজের ওপর৷ কারণ তিনি মনে করেন, তরুণরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷

তিনি বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেছেন বলে জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান৷

১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম কোন জার্মান রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফর করলেন৷ ছেয়াশিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিশার্জ ফন ভাইৎজেকার৷ প্রেসিডেন্ট ভুল্ফ'এর পরবর্তী গন্তব্য ইন্দোনেশিয়া৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য