1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পার্লামেন্ট ভবনে নিষিদ্ধ স্বস্তিক চিহ্ন

৭ ডিসেম্বর ২০২০

জার্মানির পার্লামেন্ট ভবনে নাৎসি আমলের প্রতীক স্বস্তিক চিহ্ন। তাই নিয়ে শুরু হলো বিতর্ক। এই নাৎসি প্রতীক দেশে নিষিদ্ধ।

https://p.dw.com/p/3mJ5n
ছবি: Bernd Settnik/dpa/picture alliance

হিটলারের আমলে নাৎসিজার্মানির প্রতীক ছিল স্বস্তিক চিহ্ন। হিটলার পরবর্তী সময়ে গবেষণা, ইতিহাস, শিক্ষার জন্য ছাড়া এই প্রতীকের ব্যবহার করা যায় না। করলে তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এই কঠোর ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও স্বস্তিক চিহ্ন দেখা গেল পার্লামেন্ট ভবনেই। জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ জানাচ্ছে, একটি লিফটের দরজায় দেখা গিয়েছে এই স্বস্তিক চিহ্ন।

গ্রিন পার্টির এক সদস্যের সহকারী এই ছবি তুলে টুইট করেন। তারপরই হইচই শুরু হয়। পুলিশ রোববারই তদন্ত শুরু করেছে।

যে জায়গায় স্বস্তিক চিহ্নটি পাওয়া গেছে তা জার্মান পার্লামেন্টের মূল ভবন নয়। বুন্দেসস্টাগের যেখানে পার্লামেন্ট সদস্যদের অফিস আছে, সেখানে লিফটের দরজায় ছিল এই প্রতীক চিহ্ন। এখন জায়গাটি টেপ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

নাৎসি আমলের কোনো প্রতীক ব্যবহার করলে জেলে যেতে হয়। আঁচড় কেটে স্বস্তিক আঁকার শাস্তি তিন বছর পর্যন্ত জেল। একমাত্র শিক্ষা, শিল্প, বিজ্ঞান, গবেষণার কাজ, ঐতিহাসিক বা সমসাময়িক কোনো ঘটনার স্বার্থে স্বস্তিক সহ নাৎসি আমলের প্রতীকের ব্যবহার হতে পারে। অন্যথায় জেল অনিবার্য। কিছু টিভি সিরিয়ালে এই প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু তা ইতিহাস তুলে ধরতে ও শিক্ষার কাজে।

জার্মানিতে আবার নব্য নাৎসিদের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। অতি-দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীও সক্রিয়। সম্প্রতি এরকম একটি অতি-দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খোদ পার্লামেন্ট ভবন চত্বরে স্বস্তিক চিহ্ন কার কাজ তা খুঁজে বের করতে পুলিশ তৎপর হয়েছে।

জিএইচ/এসজি(ডিপিএ)