1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান উগ্র ডানপন্থিদেরকে মাস্কের সমর্থন, সম্পাদকের পদত্যাগ

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

এএফডিকে ‘সম্পূর্ণ ভুলভাবে' উপস্থান করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ইলন মাস্ক৷ নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে সংবাদমাধ্যমে তার এমন কলাম নিয়ে জার্মান রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়৷

https://p.dw.com/p/4oew7
ইলন মাস্ক
জার্মানির মধ্যবর্তী নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে দেশটির ডানপন্থি দল এফডিকে সমর্থন করে সংবাদমাধ্যমে ইলন মাস্কের কলাম নিয়ে রাজনীতিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ ফাইল ফটোছবি: Rachel Wisniewski/REUTERS

জার্মানির উগ্র ডানপন্থি দল অলটারনেটিভ ফর ডয়চল্যান্ডকে (এএফডি) সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে টেক-বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক৷ কট্টর ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত এই দলটিকে সমর্থন জানিয়ে জার্মানির সংবাদমাদ্যম ভেল্ট আম সনটাগে একটি কলাম লেখেন তিনি৷ তাতে তিনি এএফডিকে জার্মানির ‘শেষ আশার আলো' বলে মন্তব্য করেন৷    

জার্মানিতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের এই টেক জায়ান্টের এমন সমর্থন নিয়ে জার্মান রাজনীতিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷

আর কলামটি অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমটির মতামত বিভাগের এডিটর ইভা মারিয়ে কোগেল পদত্যাগ করেন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি পদত্যাগের বিষয়টি জানান৷

কী বলেছেন মাস্ক

জার্মান সংবাদমাধ্যমে মতামত প্রকাশের আগে গত সপ্তাহে সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেন, একমাত্র এএফডি-ই জার্মানিকে রক্ষা করতে পারে৷ বলা হচ্ছে,  এক্সে দেওয়া ওই বার্তার বিস্তারিত জানাতেই মতামত লেখেন তিনি৷

মাস্ক লিখেছেন, ‘‘এএফডিকে যেভাবে কট্টর ডানপন্থি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ দলের প্রধান আলিসে ভিডেলের একজন শ্রীলঙ্কান সমলিঙ্গের সঙ্গী রয়েছেন৷ এটি কী আপনাদের কাছে হিটলারের মতো মনে হয়?''

মাস্কের দাবি, জার্মানির অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি সরবরাহ এবং অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে শক্ত অবস্থান অবলম্বন করেছে এএফডি৷  

তিনি লিখেছেন, ‘‘ডানপন্থি দল হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এএফডি একটি রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিনিধিত্ব করে৷ বিষয়টি অনেক জার্মানের ভাবনার সাথে মিলে যায়, যারা মনে করে যে, তাদের উদ্বেগগুলো কর্তৃপক্ষ অবহেলা করছে৷ এটি বর্তমানের সমস্যাগুলোকে সামাধন করছে- রাজনৈতিক শুদ্ধতা ছাড়া, যা অনেক সময় সমস্যাকে ঢেকে দেয়৷  

মাস্ক আরো লিখেছেন, ‘‘নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন নীতির পক্ষে এএফডি, যা জার্মান সমাজে একীভূতকরণের বিষয়টি এবং জার্মানির সংস্কৃতি ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয়৷ এর সাথে জেনোফোবিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বরং এটি নিশ্চিত করে যে, বিশ্বায়নের দিকে ছুটতে গিয়ে জার্মানি নিজের পরিচয় হারিয়ে ফেলছে না৷

সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া

এদিকে মাস্কের কলামের পরই তার সাথে দ্বিমত করে আরেকটি মতামত প্রকাশ করেন সংবাদমাদ্যমটির ভবিষ্যত এডিটর-ইন-চিফ ইয়ান ফিলিপ বুরগার্ড৷ 

তিনি লিখেছেন, ‘‘মাস্ক যেভাবে বিশ্লেষণ করেছেন তা সঠিক কিন্তু সমস্যা সমাধানে তার যে পদক্ষেপ, অর্থাৎ একমাত্র এএফডি-ই জার্মানিকে রক্ষা করতে পারবে, তা মারাত্মক ভুল৷’’  

সংবাদমাদ্যমটির অন্য সাংবাদিকেরাও এক্সে ইলন মাস্কের মতামতের বিরোধিতা করেন৷

‘জার্মান রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা'

এএফডিকে সমর্থন করে মাস্কের এই মতামত নিয়ে জার্মান রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে৷ কোনো কোনো সাংসদ মাস্ক জার্মানির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন৷ 

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং রক্ষণশীল দল সিডিইউর সাংসদ ইয়েনস স্ফান এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘ইলন মাস্ক বলছেন, এএফডিকে যেভাবে দেখানো হয়, তার বাইরে গিয়ে দেখুন৷ তাহলে চলুন দেখি: ন্যাটো ত্যাগ করতে চায় এএফডি, নর্ড স্ট্রিম ২ আবার চালু করতে চায়৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী, পুটিনের সমর্থক, রাশিয়ার সমর্থক এএফডি৷ যুক্তরাষ্ট্র কি এটাই চায় যে এমন এক জার্মানি যেটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরে গিয়ে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ুক? ইউরোজোন ত্যাগ করতে চায় এএফডি, যেটি আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক পার্টনার৷ ইউরোজোনের ভেতরে আমরা ৪০ ভাগ বাণিজ্য করে থাকি৷ ইউরো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া জার্মান অর্থনীতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে৷''

স্ফান জানান, জার্মানির গ্র্যুনহাইডে টেসলার (ইলন মাস্কের মালিকানাধীন) ফাক্টরি স্থাপনের বিরোধিতা করেছিল এএফডি৷

আরআর/এআই (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান