1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জামায়াতের বিরুদ্ধে বলাটাই ফ্যাসিজম'

৫ আগস্ট ২০২৩

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোতে এবারের আলোচনার বিষয়: বর্তমান রাজনীতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান? অনুষ্ঠানে ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া এবং ফরহাদ মজহার।

https://p.dw.com/p/4Uo3T
আওয়ামী লীগের অধীনে জোটে যোগদানের প্রশ্নে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি রাজনৈতিক মেরুকরণ আছে
আওয়ামী লীগের অধীনে জোটে যোগদানের প্রশ্নে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি রাজনৈতিক মেরুকরণ আছেছবি: DW

আওয়ামী লীগের অধীনে জোটে যোগদানের প্রশ্নে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি রাজনৈতিক মেরুকরণ আছে। আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলবো আমি আওয়ামী লীগের জোটে যোগদান করবো। তুলনামুলকভাবে বিএনপি জামায়াতের থেকে তারা অনেক ভালো। তবে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রতি সমর্থন করার অর্থ এই নয় যে তার দলের লোকদের দুর্নীতি, বৈষম্য, লুটতরাজকে সমর্থন করবো।''

দুর্নীতি, লুটতরাজ আছে জেনেও কেন এই জোটে থাকবেন জানতে চাইলে "আমি সমর্থন না করলেও তিনি ক্ষমতায় থাকবেন" বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপিকেও একই ধরনের ফ্যাসিস্ট মনে করছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে, তিনি উত্তরে বলেন, "ফ্যাসিবাদ আমাদের সমাজের মধ্যে আছে। ফ্যাসিবাদের সাথে জাতিবাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বাংলাদেশ কখনোই ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমরা চাইছি বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক ধারাটির পরিবর্তন হোক।‘

বাংলাদেশের রাজনীতি ১৯৭১ সাল থেকে সেকুল্যারিজম এর নামে ইসলাম নির্মূলের একটা চর্চা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।

‘বাংলাদেশের জনগণ যদি একটি ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা চায় আপনি তাহলে তা দিবেন না কেন? জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলাটাই বাংলাদেশে ফ্যাসিজম। আপনি সেই অধিকার দিবেন না কেন?' বলে জানতে চান ফরহাদ মজহার।

কিন্তু নির্বাচন ও ক্ষমতার পরিবর্তনের মাঝে ইসলাম কখন আসলো খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চাইলে জবাবে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন দক্ষিণ এশিয়াতে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। কিন্তু এখন সরকার একটা জামায়াত জজবা তুলে সরকার ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। এবং বিএনপি এমন একটা দল যে কারোর কথাই শুনে না। শুনলে তাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে পরতে হতো না।''

সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন  দিলীপ বড়ুয়ার কাছে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা আসলে শেখ হাসিনা সরকারকে কিভাবে দেখতে চান? চীনের মতো এক ব্যাক্তি কেন্দ্রিক?''

জবাবে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘‘বাংলাদেশ এবং চীনের বাস্তবতা আলাদা। তবে ভূরাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের গুরুত্ব বর্তমানে অনেক। চীনের সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন উন্নতি করা উচিত। মার্কিন যুক্তরাস্ট্র একবার এইদিকে ঘাঁটি করলে তার ভুক্তভোগী এই অঞ্চলের সবাই হবে।''

‘আপনারা তো জনগণের কাছে যান নাই, গিয়েছেন চীনের কাছে,'' এই মন্তব্যের জবাবে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ''চীন অর্থনৈতিক বিনির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। সেটা যেই ক্ষমতায় থাকুক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো তারা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।''

তিনি আরও মনে করেন, ‘‘আন্দোলন করে সফল হওয়াও গণঅভ্যুথান করার ক্ষমতা বিএনপির নেই।''

ফরহাদ মজহার এবং দিলীপ বড়ুয়া দুইজনই মনে করেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে দিয়ে তার স্বার্থ হাসিল করতে না পারলে সে তৃতীয় কোন শক্তিকে আনতে চেষ্টা করবে। দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে তারা তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়।''

এসএইচ/এআই