জাপানের ভূমিকম্প প্রস্তুতি
জাপান মেটেওরোলজিক্যাল এজেন্সির হিসেবে দেশটিতে প্রতিবছর প্রায় দেড় হাজার ভূমিকম্প হয়৷ তাই সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে জাপান৷
বছরে দেড় হাজার ভূমিকম্প
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের হিসেবে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর অন্যতম জাপান৷ জাপান মেটেওরোলজিক্যাল এজেন্সির হিসেবে দেশটিতে প্রতিবছর প্রায় দেড় হাজার ভূমিকম্প হয়৷ এর মধ্যে ছয় থেকে সাতটির মাত্রা পাঁচ বা তার চেয়ে বেশি হয়ে থাকে৷ ১৮৮৫ সালের পর থেকে জাপানে এখন পর্যন্ত ২০টি ভূমিকম্প হয়েছে যেগুলোর মাত্রা সাত-এর বেশি ছিল৷
ভূমিকম্প-প্রতিরোধী ভবন
বলা হয় টোকিওর প্রায় ৮৭ শতাংশ ভবন ভূমিকম্প-প্রতিরোধী করে তৈরি করা হয়েছে৷ আইন করে বিভিন্ন মাত্রার কম্পন-প্রতিরোধী ভবন তৈরির ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ কিছু ভবন টেফলন নামের সিন্থেটিক পলিমারের উপর তৈরি করা হয়েছে, যেন কম্পনের সঙ্গে মিলে সেটি জায়গা পরিবর্তন করতে পারে৷ এছাড়া রাবার ও তরলে পূর্ণ ভিত্তির উপরও অনেক কাঠামো নির্মিত হয়েছে যেন ধাক্কা সামলাতে পারে৷
ফোনে এলার্ট সিস্টেম
প্রতিটি স্মার্টফোনে ভূমিকম্প ও সুনামি এলার্ট সিস্টেম ইনস্টল করা আছে৷ এর মাধ্যমে ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানার পাঁচ থেকে ৬০ সেকেন্ড আগে মানুষকে সতর্ক করা হয়৷
বুলেট ট্রেনে সেন্সর
প্রতিটি বুলেট ট্রেনে ভূমিকম্প সেন্সর লাগানো আছে৷ এটি কম্পন অনুভব করে সমস্যা মনে করলে ট্রেন থামিয়ে দিতে পারে৷২০১১ সালে জাপানে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার আগে কম্পন টের পেয়ে চলমান ২৭টি বুলেট ট্রেন থেমে গিয়েছিল৷ সে কারণে প্রাণহানি এড়ানো গেছে৷
স্কুলে অনুশীলন
আগুন লাগলে কী করতে হবে তা বিশ্বের অনেক দেশের স্কুলেই শেখানো হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর হাতে-কলমে তা অনুশীলন করা হয়৷ আর জাপানে স্কুল শিক্ষার্থীদের ভূমিকম্পের সময় কী করতে হবে তা শেখানো হয়৷ এছাড়া স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ফিল্ড ট্রিপেরও ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে তাদের জন্য সিমুলেটরের সাহায্যে ভূমিকম্পের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়৷ ফলে ভূমিকম্প হলে আসলে কেমন লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানতে পারে শিক্ষার্থীরা৷
আর্থকোয়্যাক সার্ভাইভাল কিট
ওষুধ ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতে এসব কিট পাওয়া যায়৷ এর মধ্যে থাকে ফার্স্ট এইড কিট, পানি, খাবার, গ্লাভস, মাস্ক, টর্চ, ইনসুলেশন শিট, রেডিও ইত্যাদি৷ অনেক বাড়িতেই এসব কিট রাখা হয়৷